২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তিপান্ন.
‘হ্যাঁ, আমি,’ জবাব দিলেন মুরাদ সাহেব। ‘তোমার জারিজুরি সব খতম, ব্রুকার। তোমার একজন লোককে নিউ ইয়র্কে ধরে ফেলেছি আমি। পুলিশ জেরা করতেই সব বলে দিয়েছে সে। ওই লোক আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে ক্যাসাব্ল্যাংকার অ্যাটলাস ট্র্যাভেল এজেন্সিতে। মাটির নিচের ঘরে খুঁজে পেয়েছি টিকিট জাল করার ছাপাখানাটা আর হাজার হাজার জাল টিকিট।’
জু-জু আর তার দুই সহকারী বাদে বাকি চারজনের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দিলো পুলিশ।
‘ক্যাসাব্ল্যাংকা থেকে আমার বাসায় এলেন তোমাদের বাবা,’ রেজা-সুজাকে জানালেন ডক্টর দিশাউ। ‘তোমরা কোথায় গেছ জানালাম তাঁকে।’
‘কিন্তু এলেন কীভাবে এখানে?’ সুজার প্রশ্ন। ‘ওই যে প্লেনটা দেখলাম তখন, ওটাতে করে?’
হাসলেন ডক্টর দিশাউ। ‘হ্যাঁ। ওই প্লেনে করেই ব্রুকারের লোকটাকে ক্যাসাব্ল্যাংকায় এনেছেন তোমাদের বাবা। আর তোমরা তো তোমাদের ম্যাপের কপি দিয়েই এসেছিলে আমাকে। আসতে অসুবিধে হয়নি।’
ম্যাপের কথা শুনে ব্রুকারের দিকে তাকাল রেজা। ‘মিস্টার ব্রুকার, যে দোকান থেকে ম্যাপ কিনেছি, নিশ্চয় সেখানে গিয়ে হানা দিয়েছিলেন আপনি, তাই না? ডক্টর আঙ্কেলকে দেয়ার জন্য আমরা যে কপিটা রেডি করেছিলাম, সেটার কথা জেনে নিয়েছিলেন দোকানের সেলসম্যানের কাছ থেকে। জেনে গিয়েছিলেন ঠিক কোথায় আসছি আমরা। উটের কাফেলা নিয়ে আগেভাগেই এসে বসে ছিলেন জায়গামতো, আমাদের অপেক্ষায়। মুখোশটা না পাওয়ায় বুঝতে পারেননি ঠিক কোনখানে রয়েছে গুপ্তধন। নইলে আমরা আসার আগেই বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement