১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডাকাতিতে বাধা দেয়ায় ট্রেনে হত্যা : র‌্যাব

- ছবি - সংগৃহীত

ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে দু’জনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাকাতিতে বাধা দেয়ায় দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নগরীর শিকারী কান্দা এলাকার আশরাফুল ইসলাম স্বাধীন (২৬), বাঘমারা এলাকার মঞ্জুর মিয়ার ছেলে মাকসুদুর হক রিশাদ (২৮), সাব্বির খানের ছেলে মোঃ হাসান (২২), মৃত আশরাফ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (৩১) ও সাব্বির খানের ছেলে মোহাম্মদ (২৫)।

রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান জানান, আগের রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের ছাদে গফরগাঁও স্টেশনে কয়েকজন ডাকাত উঠে।

এ সময় ছাদে থাকা তিন যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইলসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে ডাকাতরা তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে।

পরে ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশনে ঢোকার আগেই কেওয়াটখালী ও ভারব্রিজের কাছে মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে ডাকাতরা নেমে পড়ে। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর পর তিনজনকে ছাদ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিসকেরা দু’জনকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতরা হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ি মিতালী বাজার এলাকার ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (৪০) ও একই জেলার পৌরশহরের বাগেরহাটা এলাকার মোঃ আজারুল মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (২৫)।

নাহিদ ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন এবং সাগর ঢাকায় রিকশা চালাত।

সংবাদ সম্মেলনে রোকনুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বাধীনকে নগরীর শিকারীকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে কাছ লুট করা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকি চারজনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন ডাকাতির উদ্দেশ্যে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চারজন ডাকাত ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠেন। পরে রিশাদ, হাসান এবং স্বাধীন টঙ্গী স্টেশন থেকে তাদের সাথে যুক্ত হয়।

ট্রেনটি ফাতেমা নগর স্টেশনে থামলে তাদের সাথে মোহাম্মদ ও তার একজন সহযোগী যোগ দেয়। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলতে শুরু করলে তারা ইঞ্জিনের পরের বগির ছাদে বসে থাকা যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন লুট করা শুরু করে।

ডাকাতির এক পর্যায়ে সাগর ও নাহিদ বাধা দিলে ডাকাতদের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে।

পরে সাগর ও নাহিদ ট্রেনের ছাদে অচেতন হয়ে পড়লে ডাকাতরা ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ঢোকার আগে সিগন্যালে ট্রেনের গতি কমলে ট্রেন থেকে নেমে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement