১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নেপাল দলেও জায়গা পাবে না বাবর : শোয়েব মালিক

নেপাল দলেও জায়গা পাবে না বাবর : শোয়েব মালিক - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ দলগুলোকে তো বহু দূরে, ছোট দল নেপালও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে দলে নেবে না বলে মনে করেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক।

পাকিস্তানের এক টেলিভিশনে টক শোতে মালিক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাবরের অধীনে সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স করেছে পাকিস্তান। বাবরকে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ৪-৫টি দল তো দূরে থাক, পুঁচকে নেপালও তাকে দলে নেবে না।’

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে যায় মালিকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ২০০৯ সালে পরের আসরে দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান দল। এরপর আরো তিন আসরের সেমিফাইনাল এবং দুই আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল তারা। কোনো আসরেরই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়নি পাকিস্তান। কিন্তু এবার সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান।

স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করে পাকিস্তান। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ৬ রানে হেরে যায় বাবরের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও সুপার এইটের টিকিট পায়নি উপমহাদেশের দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলো বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ার জন্য বাবরের নেতৃত্বে সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই দলে যোগ দিলেন মালিকও। তিনি বলেন, ব্যাটার ও অধিনায়ক হিসেবে যা পারফরমেন্স তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৬টি ওয়ানডে ও ৮৮টি-টোয়েন্টি খেলা নেপালও বাবরকে দলে নেবে না।

মালিক বলেন, ‘আমাদের সেরা খেলোয়াড় কে? আমাদের সেরা খেলোয়াড় বাবর আজম। আমি শুধুমাত্র সেরা ৪-৫ দলের কথা বলছি। বাবর কি সেসব দলের একাদশে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে? অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা ইংল্যান্ড দলে এই ফরম্যাটে কি জায়গা পাবে বাবর? উত্তর হচ্ছে- না। এমনকি নেপালও তাকে দলে নেবে না।’

সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চার ম্যাচ খেলে ১২২ রান করেন বাবর। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪০ দশমিক ৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ছিল ১০১ দশমিক ৬৬।

ভারতের মাটিতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর। এরপর টেস্টের অধিনায়ক শান মাসুদ এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দায়িত্ব পান শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ৪-১ ব্যবধানে হারের পর, অধিনায়কত্ব হারান শাহিন। পুনরায় সাদা বলের দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক হন বাবর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement