১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাকিবকে লজ্জায় অবসর নিতে বললেন শেবাগ

সাকিব আল হাসান - সংগৃহীত

সাকিব আল হাসানের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরেন্দর শেহবাগ। সাবেক এই ভারতীয় রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন সাকিবকে। বাজে পারফরম্যান্সের জেরে লজ্জায় অবসর নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন সাকিবের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও!

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। মাঠের ক্রিকেটে একেবারেই ম্লান তিনি, ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই যেন হারিয়েছেন নিজেকে। খারাপ সময় যদিও ক্রিকেটেরই অংশ, তবে এতোটা বাজে যাবে সময়; তা কখনো ভাবনাতেই আসেনি।

নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব। তাকে নিয়ে উন্মাদনার কমতি নেই এদেশের ক্রিকেটে। অনলাইনে-অফলাইনে তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফ্যানবেজ, ফ্যানগ্রুপ। যা একটা সময় মুখরিত থাকতো তার প্রশংসা আর কীর্তিগাথায়।

অথচ সেই প্লাটফর্মগুলোও এখন হারিয়েছে বিশ্বাস। যেই সাকিবকে ঘিরে তাদের পথচলা, সেখান থেকেই ডাক আসছে এখন সাকিবকে বসিয়ে দেয়ার। সাকিবকে অবসর নেয়ার কথাও বলছেন তারা। এমন দিনের কথা সাকিব ভেবেছিলেন কখনো!

এবার তাদের সুরে গলা মেলালেন ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটার বিরেন্দর শেবাগ। ধুঁকতে থাকা সাকিবকে দেখে ক্রিকবাজের এক আয়োজনে শেবাগ স্পষ্টই তাকে লজ্জায় অবসর নেয়ার আহ্বান করেন।

সাকিবকে উদ্দেশ্য করে শেবাগ বলেন, ‘আপনি এতো সিনিয়র একজন খেলোয়াড়, আপনি অধিনায়কও ছিলেন এতদিন, আর এরপরও আপনার এতো বাজে গেমসেন্স! আপনার নিজেরই তো লজ্জা হওয়া উচিত। ‘অনেক হয়েছে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছি।’ -এটা আপনার নিজেরই বলে দেয়া উচিত এখন।’

শুধু তাই নয়, আরো আগেই সাকিবের অবসর নেয়া উচিত ছিল বলে দাবী তার। এমনকি বিশ্বকাপের পর সাকিবকে আর খেলানো উচিত নয় বলেও মনে করেন শেবাগ।

তিনি বলেন, ‘গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেয়ার সময় হয়েছে।’

এ সময় নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে টানেন শেবাগ। বলেন, ‘আমি যখন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলছিলাম, তখন অনুধাবন করলাম ডেল স্টেইন, মর্নে মরকেল, আফগানিস্তানের একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ছিল, তাদেরকে মারতে পারছি না। তখনই আমি সিলেক্টরদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিবেচনা না করা হয়। আমি শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে চাই।’

উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসানের বাজে পারফরম্যান্স আতকে উঠার মতো। শেষ ২০ ম্যাচে কোনো ফিফটি নেই। রান করেন মাত্র ২৬৮। গড় ১৭ আর স্ট্রাইকরেট ১১২। উইকেটে পেয়েছেন মাত্র ২৪টা। তবে শেষ ৫ ম্যাচে নামের পাশে নেই কোনো উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement