পাকিস্তানকে হারানো মার্কিন দলে ৭ দেশের ক্রিকেটার, ভারতের ৬ জন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুন ২০২৪, ১৬:৪৭
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে গিয়েছেন বাবর আজমরা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজকদের এই জয়ে অবদান ছিল পাঁচ ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। সাথে আরো ছয় দেশের ক্রিকেটারদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা যুক্তরাষ্ট্রের দলকে একরকম ‘বিশ্ব একাদশ’ বলা যেতে পারে। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা সব দেশের ক্রিকেটাররা খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম একাদশে ছিলেন ছয়টি দেশে জন্ম নেয়া ক্রিকেটররা। সব থেকে বেশি পাঁচজন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল গুজরাটের বাসিন্দা। ৩১ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অনূর্ধ্ব ১৯ গুজরাট দলের হয়েও খেলেছেন।
বাঁহাতি অলরাউন্ডার হরমিত সিংহের জন্ম মুম্বাইয়ে। খেলেছেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে। ভারতে ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত পেসার জসদীপ সিংহের জন্ম অবশ্য নিউইয়র্কে। প্রথম থেকেই তিনি মার্কিন ক্রিকেটার। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্ম আর এক বাঁ হাতি বোলার নসটুশ কেনজিগের। ভারতীয় বংশোদ্ভুত কেনজিগেও প্রথম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার।
বাঁ হাতি পেসারর সৌরভ নেত্রভালকরের জন্ম মুম্বাইয়ে। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মুম্বাইয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতীশ কুমার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যাটারের জন্ম কানাডার ওন্টারিয়োতে। তিনি প্রথমে ছিলেন কানাডার ক্রিকেটার। পরে আমেরিকার হয়ে খেলতে শুরু করেন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলা ছয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারের তিনজনের জন্ম ভারতে।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বৃহস্পতিবার খেলেছেন আন্দ্রিস গৌস। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। নিজের দেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ৬০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
দলে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসনও। কেন উইলিয়ামসের সাবেক সতীর্থের ১৩টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিজের দেশে সুযোগ না পেয়ে আমেরিকায় চলে এসেছিলেন তিনি।
আমেরিকার পেসার আলি খানের জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। যদিও প্রথম থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সারা বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেন তিনি।
এই নয় ক্রিকেটারের বাইরে এমন দু’জন ছিলেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে। অ্যারন জোন্স এবং স্টিভন টেলরের জন্ম আমেরিকায়। প্রথম থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলেন ওপেনিং ব্যাটার টেলর। মিডল অর্ডার ব্যাটার জোন্সের জন্ম আমেরিকায় হলেও তার পরিবার আদতে বার্বাডোজের বাসিন্দা। আমেরিকায় ক্রিকেট খেলা শুরু করলেও এক সময় নিজের মাতৃভূমির হয়ে খেলতেন। পরে আবার ফিরে আসেন নিজের জন্মভূমিতে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নায়ক তিনি।
সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলা ১১ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ছ’জন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, বার্বাডোজ এবং আমেরিকার একজন করে ক্রিকেটার ছিলেন। আবার জন্মগতভাবে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা এবং কানাডা— সাত দেশের ক্রিকেটারেরা খেলেছেন আমেরিকার হয়ে। সূত্র : আনন্দবাজার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা