বাংলাদেশ দল : স্বপ্ন আর বাস্তবতা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ জুন ২০২৪, ২১:০৭
আগের প্রতিটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েও যেখানে প্রাপ্তি কেবল মূল পর্বে তিন জয়, সেখানে এবারের বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে বাংলাদেশ, এমন ধারণাকে স্বপ্ন বলা যায়। তবুও খেলাটা যখন ক্রিকেট, স্বপ্ন দেখতে দোষ কিসে! তবে সেই স্বপ্নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ‘ব্যাটিং’।
গ্রুপ অফ ডেথ খ্যাত ‘ডি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামীকাল। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। টেক্সাসের গ্রান্ট প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে এই লড়াই। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায়।
তবে তার আগে খুব করে ভাবাচ্ছে দলের ব্যাটিং। ব্যাট হাতে দুর্বলতার অবস্থাটা এমন, যেন ব্যথা সারা গায়েই। কথায় আছে না, ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষধ দেব কোথা? টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডার; কোথাও ভরসা দেয়ার মতো নেই কেউ। কখনো কখনো জ্বলে উঠলেও নেই ধারাবাহিকতা। সব মিলিয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা।
এমনিতেই ছন্দহীন একটা দল নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের ক্ষত এখনো দগদগে। মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সান্ত্বনার সিরিজ জিতলেও তার আগে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কার সাথেও। যেখানে অধিকাংশ ম্যাচেই হারতে হয়েছে ব্যাটি ব্যার্থতায়।
গত ভারত বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১৪টি। যেখানে ছয় জয় থাকলেও, বড় চিন্তার কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। এই ১৪ ম্যাচে মাত্র ২ বার ১৭০ বা তার অধিক রান করেছে বাংলাদেশ। দেড় শ’ পেরিয়েছে ৬ বার। অথচ আধুনিক ক্রিকেটে দুই শ’ আসে অনায়াসে।
দলের দুই অভিজ্ঞ সেনানী সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্বাভাবিকভাবে বড় আসরগুলোতে তাদের থেকে প্রত্যাশা একটু বেশিই। যেখানে মাহমুদউল্লাহ গতানুগতিক পারফরম্যান্স উপহার দিলেও নেই ধারাবাহিকতা। যা বড় ভাবনার কারণ।
অন্যদিকে সাকিব যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ব্যাটে-বলে করাই তার জন্যে হয়ে দাঁড়িয়েছে কষ্টসাধ্য। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশের ঘর পেরিয়েছেন প্রায় দুই বছর আগে! এই সময়ে সাকিবের ব্যাটে এসেছে মাত্র ২৫৭ রান। গড় ১৯.৭৬।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় এক দশক পাড়ি দিয়ে ফেলা সৌম্য সরকার আর লিটন দাসকেও নিয়ে আছে প্রশ্ন। সৌম্য সুযোগে-সময়ে ঝড় তুললেও লিটন যেন নিষ্প্রণ নদী। শেষ ১২ ম্যাচে তার রান মোটে ১৫১। গড় ১২, স্ট্রাইকরেট বলে আর লজ্জা দিতে চাই না।
অবস্থা ভয়াবহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তেরও। অফ ফর্মের সাথে নেতৃত্ব, শান্ত পারবেন তো বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে? গত আসরে দলের হয়ে সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহক গত ১৭ ইনিংসে করেছেন মাত্র ২৬৮ রান। যেখানে গড় ১৫.৭৬ ও স্ট্রাইকরেট সমান ১০০!
মন্দের ভালো বলতে আছেন কেবল তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ তামিম। দু'জনেই আছেন ছন্দে। অপরপ্রান্ত থেকে সহায়তা পেলে রাখেন বড় ইনিংস খেলার সক্ষমতা। তবে ফিনিশার পজিশনে জাকের আলিকে নিয়ে আছে চিন্তা, ধারাবাহিক নয় তিনি।
এই যখন অবস্থা তখন স্বপ্ন দেখতেও ভয় করে। বাস্তবতা যে চোখ রাঙায় বাংলাদেশকে। তবুও বিশ্বাস রাখি, অবিশ্বাস্য কিছু করেই আসর শেষ করবে বাংলাদেশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা