ফের বৃষ্টিতে ভণ্ডুল ম্যাচ, প্লে অফে কেকেআরের মুখোমুখি হায়দরাবাদ

আবার ভণ্ডুল হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ম্যাচ। গৌহাটিতে রোববার কেকেআর-রাজস্থান রয়্যাল ম্যাচের এক বলও খেলা হয়নি। চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

একটানা বৃষ্টির জন্য টস পিছিয়ে যায়। বৃষ্টি থামার পর স্থানীয় সময় রাত ১০.১৫ মিনিট নাগাদ মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন আম্পায়াররা। চালানো হয় সুপার সুপার। মাঠ কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতার মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করে দেন। রাত সাড়ে ১০টায় টস হয়। ১০.৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। টসে জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স আইয়ার। ম্যাচের ওভার কমিয়ে সাত ওভারের করা হয়। দু'ওভারের পাওয়ার প্লে। তিন বোলার দু'ওভার করে বল করতে পারবে। একজন এক ওভার বল করতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টসের পরই আবার বৃষ্টি নামে। আবার মাঠ ঢেকে দেয়া হয় কভারে। রাত ১০.৫৬ কাট অফ টাইম ছিল। তারমধ্যে কোনোভাবেই আর খেলা শুরু করা সম্ভব ছিল না। ১০.৫১ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ফলে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়।

১৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল কেকেআর। সমসংখ্যক ম্যাচে ১৭ পয়েন্টে শেষ করল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে শেষ করলেন সঞ্জু স্যামসনরা‌। হায়দরাবাদের রানরেট +০.৪১৪, রাজস্থানের +০.২৭৩। অর্থাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে কেকেআর। ১১ মে ইডেনে শেষ ম্যাচ খেলেছে নাইটরা।

তারপর আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটান্স এবং গৌহাটিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভণ্ডুল হয়ে গেল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো নাইটরা। পয়েন্টের দিক থেকে কোনো পার্থক্য না হলেও উইনিং মোমেন্টাম নষ্ট হলো। টানা জয়ের মধ্যে ছিল কেকেআর। প্রায় দশ দিন কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলে সরাসরি প্লে অফে নামতে হবে গৌতম গম্ভীরের দলকে। যা কিছুটা হলেও চিন্তার।

আরো একটি বিষয় হলো, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দেশে ফিরে গিয়েছেন ফিল সল্ট। তার জায়গায় এই দুই ম্যাচে রহমতুল্লাহ গুরবাজকে পরোখ করে নিতে চেয়েছিল নাইট শিবির। কিন্তু বৃষ্টির জন্য পরপর দুটি ম্যাচ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ায় সেটা আর হলো না। ওপেনিংয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামতে হবে নাইটদের। যা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে কেকেআরের মেন্টরকে।