১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সিংহাসন ধরে রাখলো আবাহনী

সিংহাসন ধরে রাখলো আবাহনী - ছবি : সংগৃহীত

সিংহাসন ধরে রাখলো আবাহনী। নিজেদের শিরেই রাখলো দেশের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। ঘরেই রাখলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। দুই ম্যাচ হাতেই শিরোপা উল্লাসে মাতলো দলটি। যা আকাশী-নীলদের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ২৩তম লিগ শিরোপা।

জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। এমন সমীকরণ জেনেই মঙ্গলবার মাঠে নামে আবাহনী। আগে ব্যাট করা শেখ জামালকে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ২৬৮ রানে আটকে দেয় তারা৷ জবাবে উত্তেজনা ছড়ালেও ১ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মোসাদ্দেক বাহিনী।

ম্যাচটা শুধুই ‘শিরোপা’ উপলক্ষ ছিল না, ম্যাচটা ছিল সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তনেরও। দলকে জেতাতে না পারলেও উপলক্ষটা একেবারে মন্দ যায়নি সাকিবের। ব্যাট হাতে ৫৬ বলে ৪৯ করার পর বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রানে ১ উইকেট নেন তিনি।

আবাহনীকে শিরোপা জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ তিন ওভারে একটা সময় ২৭ রান দরকার ছিল আবাহনীর, শেষ ওভারে ৯ রান। অতঃপর ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১ বল বাকি থাকতে এনে দেন জয়। নিজে অপরাজিত ছিলেন ৫৫ বলে ৫৩ রানে।

রান তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারায় আবাহনী। সাকিবের বলে শফিকুলের হাতে ক্যাচ দেন সাব্বির হোসেন (৬)। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন এনামুল হক বিজয় ও নাইম শেখ। দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙেন শফিকুল। নাইম ফেরেন ২১ রানে।

তবে এনামুল তুলে নেন ফিফটি, করেন ৮০ বলে ৬৭ রান। তবে আবাহনীর সেরা ব্যাটার আফিফ হোসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৮৮ বলে ৮৩ রান। তাছাড়া ১৯ বলে ২৪ রান করেন নাহিদুল। দুই উইকেট নেন শফিকুল।

এর আগে শেখ জামালকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জিয়াউর রহমান। তার ৫৮ বলে ৮৫ রানের ঝড়ে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসা সাকিব ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও সৈকত আলি ও নুরুল হাসান সোহান করেন সমান ৪১ রান করে।


আরো সংবাদ



premium cement