১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শেষ ওভারের নাটকীয়তা শেষে অবিশ্বাস্য জয় কলকাতার

শেষ ওভারের নাটকীয়তা শেষে অবিশ্বাস্য জয় কলকাতার - সংগৃহীত

শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে অবিশ্বাস্য জয় কলকাতার। ষোলআনা রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ১ রানের জয় পেয়েছে পশ্চিম বাংলার দলটি। নাটকীয়তা জাগিয়েও শেষ দুই বলে তিন রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। আরো একবার বাড়ল কোহলিদের জয়ের অপেক্ষা।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকেরা।

জবাবে ২০তম ওভারের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২২১ রান করে বেঙ্গালুরু। এই নিয়ে আসরে টানা ছয় ম্যাচে হারল তারা।

কলকাতার দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে বেঙ্গালুরুর শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রান। মিচেল স্টার্কের প্রথম ৪ বলে কর্ণ শর্মা ৩ ছক্কায় তোলেন ১৮। কিন্তু শেষ ২ বলে যখন দরকার ৩ রান, তখন ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কর্ণ। শেষ বলেও ছিল সম্ভাবনা, তবে লকি ফার্গুসন ডাবলস নিতে গিয়ে ফেরেন আউট হয়ে। তাতেই হৃদয়ভঙ্গ বেঙ্গালুরুর।

ঘরের মাঠে এদিন ফিল সল্টের ব্যাটে ঝড়ো সূচনা পায় কলকাতা। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরার আগে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৫৬ রান। মাত্র ১৪ বলেই ৪৮ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হন সল্ট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নারিন এদিন ১৫ বল খেলে ১০ রান করেন। পাওয়ার প্লের শেষ বলে ফেরেন রঘুবংশী (৩)।

ভালো শুরুর পরও থিতু হতে পারেননি ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। ৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তবে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ধরেন হাল, রিঙ্কু সিংকে (২৪) নিয়ে ২৯ বলে যোগ করেন ৪২ রান। পরের ২৭ বলে আন্দ্রে রাসেলের সাথে আরো ৪০ রান যোগ করেন তিনি। ফিফটি তুলে আউট হন ৩৬ বলে ৫০ করে।

তবে ঝড় ওঠে এরপর। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৬ বলে ৪৩ রান তুলেন আন্দ্রে রাসেল ও রামানদ্বীপ সিং মিলে। রামানদ্বীপ করেন ৯ বলে ২৪* রান। রাসেল অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৭ রানে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। ৭ বলে ১৮ রান করে হারশিত রানার শিকার হন তিনি। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও করেন মাত্র ৭ রান। বেঙ্গালুরু ম্যাচে ফেরে উইল জ্যাকস ও রজত পাতিদারের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ বলে ১০২ রান যোগ করেন দুজনে।

উইল জ্যাকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রাসেল। ৩২ বলে ৫৫ রান করেন জ্যাকস। একই ওভারের চতুর্থ বলে পাতিদারকেও ফেরান রাসেল। মাত্র ২৩ বলে ৫২ রান করেন পাতিদার। পরের ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন সুনীল নারিনও। ক্যামেরন গ্রিন (৬) ও মাহিপাল লোমারকে ৪ রানে ফেরান নারিন।

১৭.২ ওভারে ১৮৭ রানের মাথায় সুয়াশ প্রভুদেশাইকে ফেরান হারশিত রানা। ১৮ বলে ২৪ করেন এই ব্যাটার। তখনো জয়ের জন্য ১৬ বলে প্রয়োজন ৩৬ রান। উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও বেঙ্গালুরুর আশা হয়ে ছিলেন দিনেশ কার্তিক। ১৯তম ওভারের শেষ বলে তিনিও ফেরেন ১৮ বলে ২৫ করে। বেঙ্গালুরুর তখন দরকার ২১ রান।

কলকাতার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ২ উইকেট শিকার করেন সুনীল নারিন। হারশিত রানাও ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।


আরো সংবাদ



premium cement