১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রান বন্যার ম্যাচে শেষ হাসি হায়দরাবাদের

রান বন্যার ম্যাচে শেষ হাসি হায়দরাবাদের - ছবি : সংগৃহীত

রান বন্যায় যেন ভেসে গেল হায়দরাবাদ। ভেঙে দিয়েছে আগের সব ইতিহাস। আইপিএল সর্বোচ্চ তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই এক ম্যাচের সর্বোচ্চ রান দেখল বিশ্ব। দুই দলের সম্মিলিত সংগ্রহ ৫২৩ রান! যেখানে মুম্বাইকে আক্ষেপে পুড়িয়ে শেষ হাসি সানরাইজার্সের।

বুধবার দুই দলের দেখায় আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এটি আইপিএলে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে থেমেছে মুম্বাই। হেরে যায় ৩১ রানের ব্যবধানে।

এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ২৬৩/৫। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে, যে ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল। তবে আজ কোনো শতকের দেখা মেলেনি। ছিল অনেকগুলো ইনিংসের সংমিশ্রণ।

শুরুটা করেন ট্রাভিস হেড। মায়াঙ্ক আগারওয়াল দ্রুত ফিরলেও জ্বলে উঠেন তিনি। ইনিংস উদ্বোধন করতে এসে ২৪ বলে খেলেন ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হেড। এরপর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন অভিষেক শর্মা। ২৩ বলে ৬৩ রান করে হেডের ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান তিনি।

তবে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পণ করেছিলেন যেন হেনরিখ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকান এই হার্ডহিটার মাত্র ৩৪ বলে করেন ৮০ রান। অপরাজিত ছিলেন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। সুবাদের আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় হায়দরাবাদ।।

শেষ দিকে ক্লাসেনের সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন এইডেন মার্করাম। চারে নেমে ২৮ বলে ৪২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি।

জবাব দিতে নেমে ছেড়ে কথা বলেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও। সমানে সমানে পাল্লা দিয়েছে তারা। প্রথম ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। ফলে ম্যাচটা জয়ের পথে ভালোমতোই ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তবে পরের দশ ওভারে একই গতি আর ধরে রাখতে পারেনি, যার মাশুল দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।

মাত্র ৩ ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে মুম্বাইয়ের ওপেনার ইশান কিষান যখন ফিরেন, দলের রান ৫৬। ইশান ফেরেন ১৩ বলে ৩৪ রান করে। রোহিতের ইনিংসও আটকে যায় ২৬ রানে, ১২ বলে।

তিন ও চারে নামা নামান ধিরের সাথে তিলক ভার্মা ধরে রাখেন রানের গতি। দু'জনে মিলে যোগ করেন ৩৭ বলে ৮৪ রান। দলীয় ১৫০ রানের মাথায় নামান ফেরেন, ১৪ বলে ৩০ রান করে। তিলক তুলে নেন ফিফটি। ১৪.১ ওভারে আউট হবার আগে করেন ৩৪ বলে ৬৪ রান।

হার্দিক পান্ডিয়া ও টিম ডেভিড ধরেন পরের হাল।।যোগ দেন এই মার-কাটারি দৃশ্যে। দু'জনের জুটিতে ২০০ ছাড়িয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে। তবে ম্যাচের আহব নষ্ট করে ২০ বলে ২৪ রান করে হার্দিক বিদায় নেন। পারেনি মুম্বাই অধিনায়ক সময়ের প্রয়োজন মেটাতে।

যাহোক, শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৫৪ টি রান। ১৯তম ওভারে ৭ রান আসার পর, রোমারিও শেফার্ডের কল্যাণে শেষ ওভারে আসে ১৫ টি রানে। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামতে হয় মুম্বাইকে। টিম ডেভিড ২২ বলে ৪২ এবং শেফার্ড ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ের ইনিংস মিলিয়ে বুধবার রান হয়েছে ৫২৩। যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে হয়েছে ৩৮টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই ইনিংস মিলিয়ে যা সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।

 


আরো সংবাদ



premium cement