২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইপিএলয়ে কে কোন দলের শক্তি বাড়াচ্ছেন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দুই অধিনায়ক। - ছবি : সংগৃহীত

শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসর। শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টায় মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেট লিগ। শুরুর দিনই গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস।

করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর এবারই প্রথম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ হবে আইপিএলে। গত তিন মৌসুমে আইপিএল হয়েছে প্রচলিত ধারার বাইরে।

একবার হয়েছে দু’ভাগে। যার একভাগ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আরেকবার হয়েছে ভারতের মাটিতেই কিন্তু নির্ধারিত তিনটি ভেন্যুতে।

আইপিএলে এবারের নিলামে কোনো কোনো দল পুরনো ক্রিকেটারদের ধরে রেখেছে, কেউ বা নতুন করে সাজিয়েছে দল।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স
গতবারের মতো এবারো শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে গুজরাট টাইটান্স, ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক বলে ধারণা করা হয় যাকে, সেই হার্দিক পান্ডিয়া এই দল নিয়েই নিজের নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন।

অভিজ্ঞতা আর তারুণ্য মিলিয়ে দারুণ এক দল গড়েছে টাইটান্স। শুভমন গিল আছেন এই দলে, আছেন রাহুল তেওয়াতিয়া। গিল ইতোমধ্যে ভারতের দলে খেলছেন, তেওয়াতিয়া আইপিএলের তারকা।

বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন রশিদ খান, যিনি সময়ের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত। সম্প্রতি লাহোর কালান্দারসের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগ শিরোপা জিতেছেন রাশিদ খান, ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২০টি উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েড আছেন। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ওডেন স্মিথও আছেন গুজরাটে।

দলের অন্যতম তারকা দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার এখনো দলের সাথে যোগ দেননি, তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি মাঠে নামবেন।

গুজরাট টাইটান্সের আরেকটা বড় সুবিধার জায়গা মনে করা হয় তাদের বিশাল স্টেডিয়াম।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রায় এক লাখ লোক বসে খেলা দেখতে পারবে, এটা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ হতে পারে।

লিটন-সাকিবের কলকাতা নাইট রাইডার্স
বাংলাদেশের দর্শকদের এবার নজর থাকবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দিকে। শাহরুখ খানের মালিকানার এ দলে আছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ছুটি পাওয়া মাত্রই এ দু’জন যোগ দেবেন কেকেআর ক্যাম্পে।

নাইট রাইডার্সের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ও নিয়মিত অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের না থাকা। সাময়িক অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা হয়েছে নিতেশ রানার নাম।

দলটির কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও এখন সাবেক, নতুন কোচ চন্দ্রকান্ত পান্ডিত। কলকাতার এই ভারতীয় কোচ-অধিনায়ক জুটি কেমন কাজ করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

টপ অর্ডারে লিটন দাস ও আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ আছেন, আছেন ভারতের ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। তবে কেকেআর স্কোয়াডে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য দৃশ্যত তেমন ভালো মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নেই বললেই চলে। 

সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেললেও আইপিএলে তার ব্যাটিং রেকর্ড তেমন ভালো না, ভালো ইনিংসের সংখ্যা কম।

আন্দ্রে রাসেলের বয়স প্রায় ৩৫, তিনি খেলেন লোয়ার মিডল অর্ডারে। দলে আছেন গতবারের চমক রিঙ্কু সিং, শারদুল ঠাকুর, নামিবিয়ার হয়ে খেলা ডেভিড উইজা। তবে তারাও ফিনিশিং রোলেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

কলকাতার ব্যাটিংয়ের মতো ফাস্ট বোলিং বিভাগ এতো রুগ্ন নয়। এখানে আছেন টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, উমেশ ইয়াদাভ।

স্পিনে আছেন ভরুন চক্রবর্তি ও সুনীল নারায়ন।

লিটন দাস, রহমানুল্লাহ ও তামিল নাডুরর জাগাডেশান- তিনজন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান আছেন এই স্কোয়াডে।

গতবারের রানার আপ রাজস্থান রয়্যালস
আইপিএলের প্রথম মৌসুমের চমক ছিল রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বাই বা চেন্নাইয়ের মতো না হলেও আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক দল এটি। ২০২২ সালেও দলটি রানার আপ হয়েছে।

এই দলের মূল শক্তির জায়গা টপ অর্ডার ব্যাটিং। সময়ের সেরা সাদা বলের ক্রিকেটারদের একজন জস বাটলার আছেন এই দলে। সাথে আছেন ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার শেরন হেটমায়ার।

আইপিএলে বেশ তারকাবহুল কোচিং স্টাফও আছে এই দলের। হেড কোচ হিসেবে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং বোলিং কোচ হিসেবে আছেন লাসিথ মালিঙ্গা।

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের তারকারাও আছেন রয়্যালস ব্যাটিং লাইন আপে- সাঞ্জু স্যামসন, দেভদূত পাডিকাল, ইয়াশাভি জ্যায়সওয়াল।

এই দলটার স্পিন বোলিং লাইন আপ বিশ্বমানের, ভারতের যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন আশ্বিনের সাথে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা।

ফাস্ট বোলারদের মধ্যে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং অলরাউন্ডার হিসেবে ক্যারিবিয়ান জেসন হোল্ডার, তিনি রাজস্থান রয়্যালসের লোয়ার অর্ডারের সমস্যা দূর করতে পারেন।

২০২২ সালের হিসেব বলছে দলটির মোট রানের ৯৯ ভাগ তুলেছেন, প্রথম সাতজন ব্যাটসম্যান।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
গত মৌসুমে যোগ দিয়েই তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ভালো ব্যাটিং ভিত্তির পাশাপাশি লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজের বড় শক্তির জায়গা অলরাউন্ডাররা।

লোকেশ রাহুলের এই দলে এবার আছেন ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরানে। পুরানের জন্য ১৬ কোটি রুপি খরচ করেছে লক্ষ্ণৌ।

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে দলের সাথে যোগ দেবেন কুইন্টন ডি কক, যিনি আছেন দুর্দান্ত ফর্মে।

ভারতীয়তের মধ্যে গৌতাম, দিপাক হুডা, ক্রুনাল পান্ডিয়া আছেন এই দলে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড আছেন, যিনি মাত্রই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নয় নম্বরে নেমে ২২ বলে ৪৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস এবং ড্যানিয়েল স্যামস আছেন এই দলে।

মূল বোলার হিসেবে আছেন বিশ্বের অন্যতম গতিশীল বোলার মার্ক উড।

এছাড়া জয়দেভ উনাদকাট এবং আভেশ খানও আছেন।

দিল্লি কাপিটালসেমোস্তাফিজ সুযোগ পাবেন?
বাংলাদেশের সমর্থকদের নজর থাকবে দিল্লির একাদশেও থাকবে। মোস্তাফিজুর রহমান আছেন কি না এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দিল্লি কাপিটালসের টসে চোখ বুলাবেন অনেকেই।

দিল্লির একাদশে ফাস্ট বোলার হিসেবে মোস্তাফিজ ডাক পাবেন কি না সেই প্রশ্ন থাকবেই। তবে বেশ শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্ট দিল্লির।

দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নরকিয়া এবং লুঙ্গি এনগিদি আছেন। তারা দু’জন যোগ দেবেন এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে।

ভারতের ইশান্ত শর্মা, চেতন সাকারিয়া আছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকান দু’জন ক্যাম্পে যোগ দিলে, এই লাইন আপে মোস্তাফিজের দলে ঢোকা কঠিনই হওয়ার কথা।

দিল্লির মূল ক্রিকেটার ছিলেন ঋষভ পান্ত, তিনি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন। তার বদলে অধিনায়কত্ব করবেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, কোচও অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।

ওয়ার্নার এর আগে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল শিরোপা জিতেছেন।

অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ-অধিনায়ক জুটি একটা দারুণ টপ অর্ডার পাচ্ছে, যেখানে বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে আরো আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো, ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ।

লোয়ার মিডল অর্ডারে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রভমান পাওয়েল, ভারতের আকশার প্যাটেল। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন পৃথ্বি শ, ইয়াশ ধুল, সরফরাজ খান, মানিশ পান্ডে। আছেন বাহাতি স্পিনার কুলদিপ ইয়াদাভও ।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে অনেক পরিবর্তন
এক সময়ের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ গত মৌসুমে ১০ দলের মধ্যে ছিল পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে। এবারের মৌসুমে দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন।

দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রাম, হেইনরিখ ক্ল্যাসেন ও মার্কো ইয়ানসেন দলের সাথে যোগ দেবেন আগামী সপ্তাহে। তবে প্রথম ম্যাচে এই ক্রিকেটারদের পাচ্ছেনা টিম ম্যানেজমেন্ট।

গত মৌসুমে ব্যর্থতার পর কেইন উইলিয়ামসনকে ছেড়ে দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজ। নতুন মৌসুমে অধিনায়কত্ব করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার মারক্রাম।

দলে আছেন বিশ্বের সেরা তরুণ ক্রিকেটারদের একজন, ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক।

এই প্রথম আইপিএল খেলবেন তিনি, তার আগে ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৪৮ দশমিক ৩৮ স্ট্রাইক রেটে প্রায় আড়াই হাজার রান তুলে নিয়েছেন।

এবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে হায়দ্রাবাদের দলে যুক্ত হয়েছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

দলটির ব্যাটিং শক্তি বেশ ভালো, গ্লেন ফিলিপসও আছেন লোয়ার অর্ডারে, যিনি নিউজিল্যান্ডের সেরা ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারদের একজন।

ফাস্ট বোলিংয়ে আছেন কাশ্মিরের সেনসেশন উমরান মালিক, ভুবনেশ্বর কুমার, ইয়ানসেন। আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকিকেও স্কোয়াডে নেয়া হয়েছে।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
আইপিএল ইতিহাসের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজের একটি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ২০২২ মৌসুম ছিল ভুলে যাওয়ার মতো।

মোট ১৪টি ম্যাচের মাত্র চারটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকায় ১০ দলের মধ্যে সবশেষ অবস্থানে ছিল রোহিত শর্মার দলটি।

চোটের কারণে দলের প্রধান বোলার জসপ্রিত বুমরাহ নেই এবারে। ২০১৩ সালে অভিষেকের পর এই প্রথম আইপিএলের গোটা মৌসুম মিস করবেন বুমরাহ।

তবে জফরা আর্চার আছেন, ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলারকে বল হাতে দেখতে মুখিয়ে থাকবেন মুম্বাই ফ্যানরা।

এই মৌসুমে মুম্বাই কাইরন পোলার্ডকে মিস করবে। এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ২০২২ সালে আইপিএল থেকে অবসর নিয়েছেন, তিনি এখন ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে আছেন।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে পোলার্ডের জায়গায়ে এখন আছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন।

গ্রিন ছাড়াও ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারদের মধ্যে আছেন শচিন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার, আরশাদ খান এবং রমনদিপ সিং।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড, দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়াল্ড ব্রেভিস আছেন। ভারতের সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ আছেন, যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ট্রফি খরা কাটবে?
ক্রিকেটের বড় সব নাম ভিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এ বি ডি ভিলিয়ার্স- সবাই খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১৫ আসরে এই দলটি শিরোপা জিততে পারেনি।

গেইল ও ভিলিয়ার্স বিদায় নিয়েছেন। আছেন শুধু ভিরাট কোহলি, যিনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এই দলটির।

এই দলের অধিনায়ক এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু প্লেসি। আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ম্যাক্সওয়েল ও হাসারাঙ্গা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় নাম, এ দু’জন যে কোনো ম্যাচে প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে জানেন।

গত মৌসুমে দারুণ ফিনিশিং করা দিনেশ কার্তিক আছেন। ভারতের আইপিএল ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করা রজত পতিদার আছেন। তবে তিনি চোটে ভুগছেন। এবারে আরসিবির মূল মাথাব্যথা হয়ে উঠতে পারে ক্রিকেটারদের ইনজুরির তালিকা।

অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলউড এখনো নিশ্চিত নন, ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান উইল জ্যাক্স ইনজুরিতে।

হ্যাজলউডের বিকল্প হিসেবে ইংল্যান্ডের রিস টপ্লি আছেন দলে।

চেন্নাই সুপার কিংস এখনো ধোনির দল
দক্ষিণ ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজ আইপিএল ইতিহাসেরই সেরা দলগুলোর একটি, মোট চারবারের চ্যাম্পিয়ন তারা।

এই দলের লাইনআপে অনেক পরিবর্তন এলেও বদলাননি মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের সফল এই অধিনায়ক চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাণ।

ধোনির অধিনায়কত্বে এই দলটিতে আছেন সময়ের সেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানদের একজন, নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে। ভারতের ক্রিকেটাররাই এখানে বড় ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছেন। শিভাম দুবে, ঋতুরাজ গায়কোয়াদ, দিপাক চাহারদের মতো ক্রিকেটাররা আছেন দলে।

এছাড়া আছেন শ্রীলঙ্কার মাথিসা পাতিরানা। দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসও আছেন চেন্নাই স্কেয়াডে।

তবে এই দলটার সবচেয়ে বড় সাইনিং এবারে বেন স্টোকসকে দলে নেয়া, ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক গত বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এসেছেন।

মঈন আলিও আছেন, বিশ্বের সেরা স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারদের একজন তিনি। বিশেষ স্পিনার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনারও আছেন।

চেন্নাই সুপার কিংসের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হতে যাচ্ছে তারা ফিরছেন ঐতিহ্যবাহী চিপক স্টেডিয়ামে। চেন্নাইয়ের স্পিন আক্রমণে যে বৈচিত্র্য আছে তা এই মাঠে কার্যকর হতে পারে।

চেন্নাইয়ের ব্যাটিং ও বোলিং শক্তিশালী করছে দলটির অলরাউন্ডাররা।

যদি স্যান্টনার খেলেন, তবে প্রায় প্রতি ম্যাচেই চেন্নাইয়ের ১০ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং জানেন এমন ক্রিকেটার একাদশে খেলবেন।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কী অবস্থা?
পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শেখর ধাওয়ান। এই দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাওয়ার হিটারদের পাচ্ছেন ধাওয়ান।

ইংল্যান্ডের লিয়ান লিভিংস্টোন, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু শর্ট, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা আছেন।

ম্যাথু শর্ট ২০২২-২৩ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট ছিলেন।

বোলিংয়ে আছেন ভারতের তরুণ বাহাতি পেসার আর্শদিপ সিং, অস্ট্রেলিয়ার নাথান ইলিস, ইংল্যান্ডের স্যাম কারান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা।

পাঞ্জাব ম্যানেজমেন্ট জনি বেয়ারস্টোকে মিস করবেন, আঘাত পেয়ে দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার।

পাঞ্জাবের ফাস্ট বোলিং ইউনিটটাই দলের মূল শক্তি। পার্ট টাইম স্পিন অপশনগুলোও দারুণ কাজে লাগতে পারে ভারতের মাটিতে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement