২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাকিবের কিছু অজানা রেকর্ড

সাকিব আল হাসান। - ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম দুই হাজার রান ও ১০০ উইকেট, তিন হাজার রান ও ১৫০ উইকেট এবং চার হাজার রান ও ২০০ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান। আবার, ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম তিন হাজার রান ও ১৫০ উইকেট, চার হাজার রান ও ২০০ উইকেট, পাঁচ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট, ছয় হাজার রান ও ২৫০ উইকেট এবং সাত হাজার রানের সাথে ৩০০ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে দ্রুততম আট হাজার রান ও ৪০০ উইকেট, নয় হাজার রান ও ৪৫০ উইকেট, ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট, ১১ হাজার রান ও ৫৫০ উইকেট এবং ১২ হাজার রানের সাথে ৬০০ উইকেটের মালিকও সাকিব আল হাসান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব :
৩৭৬ ম্যাচ, ১৩ হাজার ৭৩৪ রান, ৯৫ ফিফটি, ১৪ সেঞ্চুরি, ২১৭ সর্বোচ্চ, ৬৬৩ উইকেট, ২২ বার ইনিংসে ৫ উইকেট, ৭/৩৬ সেরা বোলিং ফিগার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কমপক্ষে ১০ হাজার রান রয়েছে ৮৬ জন ক্রিকেটারের। এদের মধ্যে একমাত্র সাকিবেরই রয়েছে ৬০০+ উইকেট। আবার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কমপক্ষে ৬০০ উইকেট নিয়েছেন ২৩ বোলার। এদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শতকের মালিক হলেন সাকিব আল হাসান- ১৪টি। অন্য কারো পাঁচটির বেশি নেই।

টেস্ট ক্রিকেটে সাকিব :
৬৫ ম্যাচ, চার হাজার ৩৬৭ রান, ৩৮.৬৫ গড়, ৩০ ফিফটি, পাঁচ সেঞ্চুরি, ২৩১ উইকেট, ১৯ বার ইনিংসে ৬ উইকেট। প্রায় ১৩৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সাকিবের চেয়ে একই সাথে ‘রান, উইকেট, ব্যাটিং গড়, ইনিংসে ৫ উইকেট, সেঞ্চুরি, ক্যাচ’ বেশি নেই আর কোনো ক্রিকেটারের।

টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে ফিফটি ও ৫ উইকেটের ডাবল মোট নয়বার অর্জন করেছেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন শুধুমাত্র একজন, ইয়ান বোথাম (১১ বার)।

টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট পেয়েছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে সাকিব একজন। বাঁহাতি হিসেবে এই কীর্তি গড়া একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব।

টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি নয়টি দেশের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ইতিহাসের চারজন বোলার। এর মধ্যে সাকিব একজন। টেস্ট ক্রিকেটে নয়টি দেশের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার ও টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে একটি শতক হাঁকানো একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র স্পিনার হিসেবে সাউথ আফ্রিকার মাঠে প্রথম দুই টেস্ট ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটে এশিয়ান হিসেবে সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াতে (SENA) কমপক্ষে একবার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ৯৪ জন। এদের মধ্যে SENA দেশগুলোতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক সাকিব আল হাসান (২১৭)। SENA দেশগুলোতে কমপক্ষে তিনবার ৫ উইকেট শিকার ও ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র এশিয়ান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচবার সিরিজ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। যা বর্তমানে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টেস্ট ক্রিকেটে ছয়বার ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। যা বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব :
২৩০ ম্যাচ, সাত হাজার ৮৬ রান, ৩৭.৬৯ গড়, ৫৩ ফিফটি, নয়টি সেঞ্চুরি, ৩০১ উইকেট, চারবার ৫ উইকেট, ৫/২৯ সেরা বোলিং ফিগার।

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে একই সাথে সাকিবের চেয়ে বেশি ‘রান, উইকেট, ব্যাটিং গড়, শতক, উইকেট’ নেই আর কোনো ক্রিকেটারের। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৪ বার ম্যাচসেরা ও সাতবার সিরিজসেরা হয়েছেন তিনি। দুটোই বর্তমানে খেলছে এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে কমপক্ষে :

এক হাজার রান করেছে ২১ জন, ৩০ উইকেট নিয়েছে ২৯ জন। যার দুটোতেই আছেন সাকিব আল হাসান।

বিশ্বকাপের এক আসরে ৬০০ রান করা পাঁচজনের একজন। এদের মধ্যে একই বিশ্বকাপে ১১টি উইকেটও আছে সাকিবের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট আর কারো নেই।

বিশ্বকাপের নির্দিষ্ট এক আসরে সবচেয়ে বেশি সাতবার ৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন মাত্র দু’জন। একজন সাকিব আল হাসান, অপরজন শচীন টেন্ডুলকার।

বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ফিফটি ও ৫ উইকেট নিয়েছেন মাত্র দু’জন, এর মধ্যে সাকিব একজন।

বিশ্বকাপের এক আসরে সবগুলা ইনিংসেই ৪০+ রান করা একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব। ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা আট ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর ছিলো ৪১ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব :
১১২ ম্যাচ, দুই হাজার ২৮১ রান, ১৩১ উইকেট, একবার ৫ উইকেট।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট শিকার করা একমাত্র ক্রিকেটার। এক ম্যাচে ৪০+ রান ও ৫ উইকেট শিকার করা একমাত্র অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০০+ রান ও ৪০+ উইকেট শিকার করা একমাত্র ক্রিকেটার। সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক (৪১)।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিরিজসেরার মালিক (৪)।

একই সাথে তিন ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠা একমাত্র ক্রিকেটার। আইসিসি দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশী। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালে মাত্র ৬৩ বলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতক হাঁকান তিনি।

২০০৯ সালে ‘উইজডেন টেস্ট ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন তিনি। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতানো অধিনায়ক সাকিব। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আজ সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান।


আরো সংবাদ



premium cement