২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৫৬ রানে ইংল্যান্ডকে থামাল বাংলাদেশ

১৫৬ রানে ইংল্যান্ডকে থামাল বাংলাদেশ - ছবি : সংগৃহীত

উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে পাওয়ার প্লেতেই আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। ১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১২৫ রান। তবে এরপরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা, ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে বল সমান ৩০ রান যোগ করে ইংলিশরা, হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে থামে থ্রি লায়ন্সদের ইনিংস।

অবশ্য টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এইদিন উড়ন্ত শুরু পেয়ে যায় ইংল্যান্ড, উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে পাওয়ার প্লেতেই আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। দুই প্রান্ত থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকেন জশ বাটলার ও ফিলিপ সল্ট। জুটি ভাঙার সুযোগ যে আসেনি তা নয়, তবে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।

অপ্রত্যাশিতভাবে এইদিন সবচেয়ে সহজ ক্যাচটাই মিস করেন সাকিব আল হাসান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাসুমের বলে জস বাটলারের ক্যাচ মিস করেন সাকিব। যেই ক্যাচ মিসের বেশ কড়া মূল্য দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অর্ধশতক তুলে নেন ইংলিশ অধিনায়ক, শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

বাংলাদেশ এইদিন প্রথম উইকেটের দেখা পায় দশম ওভারের শেষ বলে, দলীয় ৮০ রানের মাথায় ফিলিপ সল্টকে উইকেট কিপার লিটন দাসের ক্যাচ বানান নাসুম আহমেদ; ৩৫ বলে ৩৮ করেন তিনি। পরের উইকেটের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, এক ওভার পরেই সাকিবের শিকার হন ডেভিড মালান। ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন মালান।

এরপর বেন ডাকেটকে নিয়ে ফের জুটি জমিয়ে তুলেন বাটলার, মাত্র ২৬ বলে যোগ করেন ৪৭ রান। তবে পরপর দুই বলে ফেরেন দুজনে, সেই সাথে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ২০ রান করা ডাকেটের স্ট্যাম্প ভাঙেন মোস্তাফিজ, আর ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই বিধ্বংসী হয়ে উঠা বাটলারকে ফেরান হাসান মাহমুদ। সেই ওভারে মাত্র ১ রান দেন এই পেসার।

এরপর কমে আসে ইংল্যান্ডের রানের গতি, ১৮তম ওভারে মইন আলি ও স্যান কারান মিলে যোগ করেন ৭ রান। আর ১৯তম ওভারে কারানকে যখন হাসান মাহমুদ নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান, এর আগ পর্যন্ত দুজনে মিলে যোগ করেন ১৭ বলে মোটে ১১ রান। পরের ওভারেই ক্রিস ওকসের স্ট্যাম্প ভাঙেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত সেই ১৫৬ রানেই থামে ইংলিশরা।

বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তবে আলাদা করে নজর কাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, মাঠজুড়ে দারুণ ফিল্ডিং করেন তিনি। তিনটা দুর্দান্ত ক্যাচও নেন শান্ত।


আরো সংবাদ



premium cement