১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাভুমার সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়

বাভুমার সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়। - ছবি : সংগৃহীত

এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। থ্রি লায়ন্সদের দেয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্যও অবলীলায় পাড় করেছে স্বাগতিকরা৷ টেম্বা বাভুমার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দোরগোড়ায় পা রাখে প্রোটিয়ারা।

৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে দারুণ ভিত্তি গড়ে দেয় উদ্বোধনী জুটি। ১২ ওভারে দলীয় ৭৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩১ রান করে বিদায় নেন কুইন্টন ডি কক। তবে এইদিন জ্বলে উঠেন টেম্বা বাভুমা। যেন মাঠে নেমেছিলেন নিজেকে প্রমাণ করতে, ভূমিকা পাল্টে আজ তাকে দেখা যায় বেশ আগ্রাসী রূপে। দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ১০২ বলে ১০৯ রান।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আউট হবার আগে দলকেও রেখে যান জয়ের পথে। ডি ককের পর ভেন ডুসেনের সাথে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। যদিও ডুসেনের ইনিংসটা বড় হয়নি, তিনি আউট হন ৩৮ রান করে৷ তবে তা দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি, বাকি ব্যাটসম্যানরাও রানের দেখা পেয়েছেন। মাত্র ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে উঠে মার্করাম আর ক্লাসেনের মাঝে। ক্লাসেন আউট হন ১৯ বলে ২৭ রান করে।

এরপরের গল্পটা ডেভিড মিলারের। প্রথমে মার্করামকে নিয়ে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। যেই জুটি ভাঙে ৪৩ বলে ৪৯ রান করে মার্করাম আউট হলে। দলের রান তখন ৪১.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮২। জয়ের জন্য তখনো প্রয়োজন ৫১ বলে ৬১ রান। যা সাবলীলভাবেই ছিনিয়ে আনেন মিলার। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেই যখম মাঠ ছাড়েন মিলার, নামের পাশে তখন ৩৭ বলে ৫৮ রান। ২৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্কো জানসেন।

এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৩৪২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। তিনটি অর্ধশতকের দেখা মেলে থ্রি লায়ন্সদের ইনিংসে। অধিনায়ক জশ বাটলারের সঙ্গী হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত খেলেও শতক না ছোঁয়ার যন্ত্রণা, অপরাজিত ছিলেন ৮২ বলে ৯৪ রানে। অধিনায়ক হিসেবে এইটিই বাটলারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এছাড়া অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন মইন আলি ও হ্যারি ব্রুক।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি ইংল্যান্ডের। ৩৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে থ্রি লায়ন্সরা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জেসন রয় এইদিন আউট হন মাত্র ৯ রানে। আর ১২ রান করে আউট হন ডেভিড মালান। তবে এরপর দলের হাল ধরেন হ্যারি ব্রুক, বেন ডাকেটকে নিয়ে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙে বেন ডাকেট ২০ রান করে ফিরে গেলে।

এবার মাঠে আসেন অধিনায়ক জশ বাটলার। হ্যারি ব্রুককে সাথে নিয়ে দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তাদের দু'জনের ৬৬ বলের ৭৩ রানের জুটি ভাঙে হ্যারি ব্রুক আউট হলে। যাবার আগে ৭৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ব্রুক ফিরে গেলেও পথ হারায়নি ইংলিশরা, বাটলারকে যোগ্য সঙ্গ দেন ছয় নম্বরে নামা মইন আলি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন দু‘জনে মিলে।

অর্ধশতক ছুয়ে মইন আলি ৪৪ বলে ৫১ রান করে আউট হন। আউট হবার আগে বাটলারের সাথে গড়েন ৮৮ বলে ১০৬ রানের নান্দনিক জুটি। দ্রুত ফিরেন ক্রিস ওকসও, ১৪ রান করেন তিনি। তবে একপাশ আগলে রেখে সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন বাটলার। স্যাম কুরানকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতেও দলকে এনে দেন ৩৬ বলে ৫৪ রান। শেষ ওভারে ৩ বল বাকি থাকতে ১৭ বলে ২৮ রান করে আউট হন স্যাম কুরান।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন এনরিখ নর্টযে। একটি করে উইকেট যায় ওয়েইন পার্নেল, লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জানসেন, কেশভ মহারাজ ও এইডেন মার্করামের ঝুলিতে।


আরো সংবাদ



premium cement