২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

৩৬৫ রানে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

৩৬৫ রানে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস - ছবি : সংগৃহীত

মুশফিককে এক পাশে রেখে একে একে চলে গেলেন সবাই। হলো না ২০০ হাঁকানো। লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬৫ রান। মুশফিক নট আউট ছিলেন ১৭৫ রানে।

মিরপুর টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ৪ রান যোগ করে রান আউটের শিকার ইবাদত হোসেন।

প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ২৭৭। লিটন ১৩৫ ও মুশফিক ১১৫ রানে ছিলেন অপরাজিত। দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমে লিটন করতে পারলেন ৬ রান। রাজিথার বলে মেন্ডিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে লিটন করেন যান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, ১৪১। ২৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ১৬টি চার ও একটি ছক্কা।

লিটনের বিদায়ে ভাঙে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে সেরা জুটি এটি বাংলাদেশের। এরপর মাঠে নামেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু পারেননি টিকতে। তৃতীয় বলের মাথায় রাজিথার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। ফেরেন শূন্য রানে।

অপর প্রান্তে মুশফিক ছিলেন নিজের মতোই। তার সঙ্গী হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এই জুটিতে বাংলাদেশের স্কোর পৌঁছে যায় সাড়ে তিন শ’র কাছাকাছি। এর মধ্যে নিজের ১৫০ রান পূর্ণ করেন মুশফিক। যা তার ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার। ১৫০ ছাড়ানো আগের চার ইনিংসের তিনটিতেই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক।

দলীয় ৩৪৫ রানর মাথায় বিদায় নেন তাইজুল। ফার্নান্দোর বাউন্সারে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩৭ বলে ১৫ রান করেন এই টেল এন্ডার। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পেসার খালেদ আহমেদ। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। বিদায় নেন ফার্নান্দোর বলেই ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে। নতুন ব্যাটার ইবাদত রানের জন্য করেছেন বেশ লড়াই। রানের খাতা খুলার আগেই আউট হয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেচে যান তিনি।

২০ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত। তিনি মূলত সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিককে। লঙ্কানদের হয়ে পাঁচ উইকেট বগলদাবা করেছেন কাসুন রাজিথা। ফার্নান্দো নেন চার উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement