২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্রামে তামিম, বড় সংগ্রহে চোখ বাংলাদেশের

তামিম ইকবাল খান। - ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম টেস্টে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল দ্বিতীয় সেশনের পর অবশ্য মাঠে নামনেননি। ক্র্যাম্পের কারণে দৌড়াতে সমস্যায় হওয়ায় সাজঘরে ফেরেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। মাঠে এখন ব্যাট করছেন লিটন দাস ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করেছিল ৩৯৭ রান। তামিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫০ রান।

বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি অনেকদিন পর দেখল শতরান। শেষ পর্যন্ত এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় দলীয় ১৬২ রানে। আর সেটা লাঞ্চ বিরতির পর। মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আসিথা ফার্নান্দো। ডানহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল লেগ সাইডে ঘোরাতে চেয়েছিলেন জয়। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। ১৪২ বলে ৯ চারে তিনি খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস।

এরপর তামিম পেয়ে যান তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। ৯৫ থেকে পেসার আসিথা ফার্নান্দোকে পুল করে চার মেরে তামিম ইকবাল পৌঁছে যান ৯৯ রানে। পরের বল লেগ সাইডে ঠেলে তিনি পা রাখেন তিন অঙ্কে। ১৬২ বলে বাঁহাতি ওপেনার পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। যেখানে চার ১২টি।

টেস্টে ১৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেলেন তামিম। সবশেষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২৬ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে এটি তার দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল অধিনায়ক মুমিনুল হকের, ১১টি। ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে তামিমের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটি ছিল সেই ২০১৪ সালের নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৯।

তিন নম্বরে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ২২ বলে ১ রান করে তিনি ফেরেন বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব কাসুন রাজিথার বলে। ব্যক্তিগত ১০২ রানের মাথায় জীবন পান তামিম। অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে মিস করেন তামিম। কট বিহাইন্ডের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তামিম।

অধিনায়ক মুমিনুল হক প্রত্যাশা পূরুণ করতে পারেননি। আউট হয়ে যান বাজে এক শটে। ডানহাতি পেসার কাসুন রাজিথার লেংথ বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ফাঁক ছিল অনেকটা। সেই ফাঁক গলে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। এই নিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ হলেন মুমিনুল। ১৯ বলে মুমিনুলের রান মাত্র ২।

ব্যক্তিগত ১১৪ রানের মাথায় আবার জীবন পান তামিম। রমেশ মেন্ডিসকে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। বল ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে। তবে কঠিন ক্যাচটা নিতে পারেননি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে যেখানে ২৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছিল ৮১ রান। পরের সেশনে ২৫ ওভারে ৬৩ রান তুলতে স্বাগতিকরা হারায় ৩ উইকেট।

১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে বিশ্রামে গেছেন তামিম। টেস্টে তামিমের রয়েছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি। দেড়শ রানের ইনিংসও একটি। তামিম শেষ পর্যন্ত আবার মাঠে নেমে কতটা আগাতে পারেন, তাই দেখার বিষয়।


আরো সংবাদ



premium cement