তামিম-জয়ে স্বস্তির আবহ টাইগার শিবিরে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মে ২০২২, ১৭:৫২
অ্যাঞ্জোলো মাথুস লড়লেন একাই। এক রানের জন্য দ্বিশতক না পাওয়ার আফসোস থাকলেও চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা তুলতে পেরেছে ৩৯৭ রান। যা বেশ চ্যালেঞ্জিং। জবাবটা শেষ বিকেলে ভালোই দিয়েছে বাংলাদেশও। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করতে পেরেছে মুমিনুলরা। দুই ওপেনার তামিম ও জয় আছেন অবিচ্ছিন্ন।
১৯ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৬ রান। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ৩২১ রানে। দ্বিতীয় দিনের নায়ক অ্যাঞ্জোলো ম্যাথুস। যদিও এক রানের জন্য তিনি পাননি দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিশতক। আউট হয়ে গেছেন ১৯৯ রানে। তাকে আউট করেই আবার টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৬ উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের স্পিনার নাঈম ইসলাম।
প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৫৮ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার অ্যাঞ্জোলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমাল দ্বিতীয় দিনেও দারুণ শুরু করেন ব্যাট হাতে। এই জুটি ক্রমশ স্কোরকে সমৃদ্ধ করেন। চান্দিমাল পেয়ে যান ফিফটির দেখা। তিনশ ছাড়িয়ে যখন শ্রীলঙ্কার রান তখন বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন প্রথমদিনের মতো নাঈম ইসলাম। এক ওভারেই তিনি তুলে নেন দুই উইকেট।
দলীয় ৩১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন চান্দিমাল। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ভাঙে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে তার ২৮৭ বল স্থায়ী ১৩৬ রানের জুটি। রিভিউ নিতে দেরি করেননি চান্দিমাল। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ১৪৮ বলে ৬৬ রান করেন লঙ্কান এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে নাঈমকে সুইপ করে তিন রান নেন নিরোশান ডিকভেলা। কিন্তু এক বল পর ফিরে যান ওই রানেই। শরীরের খুব কাছের বল কাট করার চেষ্টায় সফল হননি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ছোবল দেয় অফ স্টাম্পে। ডিকভেলার রান ৩।
লাঞ্চের পর ঝলসে ওঠেন সাকিব আল হাসান। এক ওভারে তিনিও তুলে নেন ২ উইকেট। রমেশ মেন্ডিসের স্টাম্প এলোমেলো করার পরের বলেই লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি জোরের উপর করেন সাকিব। নিচু হয়ে যাওয়া সোজা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি রমেশ। বোল্ড হয়ে যান ১ রান করে। পরের বলটি হালকা ভেতরে ঢোকে বাঁহাতি এম্বুলদেনিয়ার জন্য। কিন্তু ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি তিনি। জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সাথে কথা বলে রিভিউ নেন ব্যাটসম্যান। ইমপ্যাক্ট ছিল আম্পায়ার্স কল, তাতে টিকে থাকে রিভিউ, তবে ফিরে যেতে হয় ব্যাটসম্যানকে। পরের ওভারে দেড় শ'তে পার রাখেন ম্যাথুস, ২৯৩ বলে। ক্যারিয়ারে লঙ্কান এই মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানের এটি চতুর্থ দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস।
ম্যাথুসের সাথে এরপর সঙ্গ দিতে পারেননি ফার্নান্দো। শরিফুরের বল হেলমেটে লাগে তার। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ফেরেন সাজঘরে ৮৪ বলে ১৭ রান করে। আসিথা ফার্নান্দোকে বোল্ড করেন নাঈম ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অ্যাঞ্জোলে ম্যাথুস। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের মাথায় ম্যাথুসকে ফেরান সেই নাঈমই। ক্যাচ লুফে নেন সাকিব আল হাসান।
৩৯৭ বলের ইনিংসে ম্যাথুস হাঁকান ১৯টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে ম্যাথুসের ডবল সেঞ্চুরি আছে একটি। সেটি ২০২০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে, ২০০ নট আউট। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেন মিরাজের বদলে দলে ঢুকা নাঈম ইসলাম। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকটে পেলেন তিনি। সাকিব তিনটি, তাইজুল নেন ১ উইকেট।
শেষ বিকালে প্রথম ইনিঙসের ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় দেখেশুনে করেন শুরুটা। দিন শেষে দুজনই অপরাজিত। আছেন ফিফটির পথে। ৫২ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৯ রানে তামিম আছেন অপরাজিত। ৬৬ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩১ রানে অপরাজিত জয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা