২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বরিশালকে উড়িয়ে কুমিল্লার দুইয়ে দুই

- ছবি : সংগৃহীত

ব্যাট হাতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়লেন ব্যাটাররা। বল হাতে দারুণ কারিকুরি দেখালেন বোলাররা। সব মিলিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে দেখা গেল দুরন্তরূপে। পাত্তাই পেল না সাকিবের ফরচুন বরিশাল।

মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৬৩ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা করে সাত উইকেটে ১৫৮ রান। জবাবে বরিশাল গুটিয়ে যায় ৯৫ রানে, ১৭.৩ ওভার।

টানা দুই ম্যাচেই জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ হারল বরিশাল। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে সাকিবদের জয় একটি।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই দিশেহারা ছিল বরিশাল। প্রথম ওভারেই রানের খাতা খুলার আগে বিদায় নেন সৈকত আলী। সাকিব ফেরেন মাত্র এক রান করে। যার উপর অনেক ভরসা ছিল সেই গেইল করেন মাত্র সাত রান।

চেষ্টা করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু সেই চেষ্টায় হার এড়াতে পারেনি বরিশাল। ১৭.৩ ওভারে অল আউট হয় দলটি। ৪৭ বলে দুটি চারে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার শান্ত। নুরুল হাসান সোহান করেন ১৭ রান। ডুয়াইন ব্রাভো, জিয়াউর রহমান, নাঈম হাসান মারেন ডাক।

বল হাতে কুমিল্লার হয়ে সবাই ভালো করেছেন। নাহিদুলের বোলিং ফিগারটা অবিশ^াস্য। ৪ ওভারে এক মেডেনে দেন মাত্র ৫ রান। উইকেট পান তিনটি। শহিদুল, তানভির ও করিম নেন দুটি করে উইকেট। মুস্তাফিজুর পান এক উইকেট।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল কুমিল্লার। উদ্বোধনী জুটিতে ৩.২ ওভারে ৩৩ রান তোলেন ডেলপোর্ট ও মাহমুদুল হাসান। ১৩ বলে চার চারে ১৯ রানে সাজঘরে ফেরেন ডেলপোর্ট নাঈমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

টিকতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিস। ১১ বলে ৬ রান করা প্রোটিয়া ব্যাটারকে ফেরান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৭১ রানে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ১১ বলে দুই চারে ১৫ রানে তিনি ব্রাভোর শিকার।
মুমিনুলের সঙ্গে ভালোই আগাচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান। পেয়েও যেতে পারতেন ফিফটির দেখা। কিন্তু হয়নি। দলীয় ১১৫ রানে কুমিল্লার এই ওপেনার ফেরেন ফিফটি থেকে দুই ধাপ দূরে থাকতে। লিনটটের বলে গেইলের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে মাহমুদুল হাসান করেন ৩৫ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান।

এর কিছুক্ষণ পর সাকিবের বলে বিদায় নেন মুমিনুল হক। ২৩ বলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ১৭ রান করা মুমিনুল স্টাম্পিংয়ের শিকার। ৫ বলে ৯ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় আরও একটি উইকেটের পতন। ব্রাভোর বলে গোল্ডেন ডাক মারেন নাহিদুল।

শেষের দিকে রানের গতি বাড়ান আফগান ক্রিকেটার করিম জান্নাত। ১৬ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে খেলেন ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। শহিদুল অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
বল হাতে বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ডুয়াইন ব্রাভো। সাকিব দুটি, নাঈম ও লিনটট নেন একটি করে উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement