২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকাকে হারিয়ে প্রথম জয় সিলেটের

বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকাকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে সিলেট সানরাইজার্স - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রথম ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ে ঠিকমতো লড়াই করতে পারেনি সিলেট। কুমিল্লার সাথে মাত্র ৯৬ রানে অল আউট হয়ে হারতে হয়েছিল ২ উইকেটে। তবে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে সিলেট সানরাইজার্স।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে মোসাদ্দেক শিবির।

আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের বোলিং তোপে মাত্র ১৮.৪ ওভারে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর ঢাকা। জবাবে সিলেট জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১৮ বল হাতে রেখে, উইকেট পতন তিনটি। চার ম্যাচে ঢাকার এটি তৃতীয় হার। দুই ম্যাচে সিলেটের প্রথম জয়।

সহজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই ছিল সিলেটের। উদ্বোধনী জুটিতে রানের গতি বাড়ান লেন্ডল সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। যদিও বড় জুটি হয়নি। তবে জয়ের সাহসী ভিত্তি গড়ে দেন এই দুই ওপেনার। দলীয় ২১ রানে এই জুটি ভাঙেন দীর্ঘদিন পর বোলিংয়ে ফেরা মাশরাফি। সিমন্সকে রুবেলের ক্যাচ বানান তিনি। ২১ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবীয় ওপেনার।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সাথে নিয়ে এগুতে থাকেন এনামুল হক। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৫৯ রান পর্যন্ত। ১৫ বলে তিন চারে ১৭ রান করে মুরাদের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন মিঠুন। এরপর অবশ্য সিলেটকে আর বেগ পেতে দেয়নি তৃতীয় উইকেট জুটিতে এনামুল হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রাম। দুজনে দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছাকাছি। জয় এক রান দূরে থেকে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। ৪৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করে তিনি হন মাশরাফির শিকার।

জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নে সারেন কলিন ইনগ্রাম ও রবি বোপারা। ১৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন কলিন। ২ বলে এক রান করেন রবি বোপারা। বল হাতে ঢাকার হয়ে মাশরাফি দুটি ও হাসান মুরাদ নেন এক উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দশার মধ্যে ছিল ঢাকা। দলীয় ৯ রানের মধ্যে হারায় তারা দুই ওপেনারকে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সোহাগের টানা তিন বলে রান না পেয়ে অস্থির হয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ (৭ বলে ৫)। পরের ওভারে মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউ তামিম ইকবাল (৫ বলে ৩)। যদিও আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায় তামিমের মধ্যে।

তিনে নামা জহুরুল ইসলামও টিকতে পারেননি। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বড় শটের চেষ্টায় আউট হন জহুরুল ইসলাম (১০ বলে ৪)। ১৭ রানে তিন উইকেট হারানো ঢাকাকে তখন পথ দেখানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম। শুরুতে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আগ্রাসী। নাঈম ছিলেন ধীর লয়ে।

এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৫৭ রান পর্যন্ত। নিজের খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি নাঈম। ৩০ বলে ১৫ রানে এলবিডব্লিউ হন তিনি অপুকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। অথচ টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছিল নাঈমের গ্লাভসে। একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন আন্দ্রে রাসেলও। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ক্যারিবীয়ন অলরাউন্ডার। তার আউটও ছিল প্রশ্নবোধক। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল আগে লেগেছিল রাসেলের ব্যাটের কানায়।

জোড়া ধাক্কায় টালমাটাল ঢাকা ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই হজম করে আরেকটি বড় ধাক্কা। দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ (২৬ বলে ৩৩) উইকেট বিলিয়ে আসেন নাজমুল অপুকে সুইপ খেলে। তার ব্যাটেই আসে ইনিংস সর্বোচ্চ রান।

১৬ বলে ২১ রান করে দলকে এগিয়ে নেন শুভাগত হোম। তাকে ফিরেই নিজের চতুর্থ শিকার বানান অপু। শেষদিকে তাসকিন যোগ দেন উইকেট নেওয়ার মিছিলে। ৪০২ দিন পর মাঠের লড়াইয়ে নামা মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে পারেননি। ৬ বলে ২ রান করে তিনি তাসকিনের শিকার। ইসরু উদানা ব্যর্থ। ৬ বলে এক চার ও এক ছক্কায় রুবেলের ১২ রানের ইনিংস ঢাকাকে পৌছে দেয় শতরানে। ১৮.৪ ওভারে অল আউট ঢাকা।

বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস নাজমুল ইসলাম অপুর। ৪ ওভারে এক মেডেনে দেন ১৮ রান। উইকেট চারটি। তাসকিন একটু খরুচে থাকলেও নিয়েছেন তিন উইকেট। সোহাগ গাজী দুটি, মোসাদ্দেক হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement

সকল