২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিপিএল : হিসাব না মেলার দীর্ঘশ্বাস

বিপিএল : হিসাব না মেলার দীর্ঘশ্বাস - ছবি : সংগৃহীত

দিন আসে, দিন যায়। রাত শেষে প্রভাত হাসে। মাস পেরিয়ে মাস আসে। একটা সময় বছরও ফুরোয়। কিন্তু মস্তিষ্কের কোষে কোষে গেঁথে থাকা স্বপ্নগুলো ধুলিমাখা মলিন হয়ে ওভাবেই পড়ে রয়। এভাবেই কেটে যায় বেলা, সময় ফুরিয়ে স্বপ্নগুলো শুধুই অবহেলা।

কিছু স্বপ্ন যদিও কখনো খানিকটা পূর্ণতাও পায়। বাকিগুলো সময়ের চোরাস্রোতে আঁধারে আর আশ্বাসে ভেসে যায়। তবুও আবারো নতুন আশা বুনি, আশায় বুক বাঁধি। পাওয়া, না-পাওয়ার হিসাব ভুলে নতুন স্বপ্ন সাজাই। নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা শুনাই, বলি ‘এবার না হয় এভাবেই যাক, আগামীবার পূর্ণতা পাক’। কিন্তু পোড়া কপাল, হায়! কিছু অঙ্কের যেমন কোনো সমাধান থাকে না, তেমনি কিছু স্বপ্ন হয়তো পূরণ হয় না৷

না, নিজের জীবনের কোনো গল্প বলছি না। বলছি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কথা। দেখতে দেখতে সাতটা আসর পেরিয়ে গেল, অষ্টম আসরের দামামাও বেজে উঠেছে জোরেশোরে। কিন্তু দীর্ঘ এই সাত বছরেও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি, সত্যতা মেলেনি বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ফ্রাঞ্জাইজি লীগ তথ্যটার। হিসাব মিলেনি অনেক বাস্তবতার, বাকি এখানেও ঢের চাওয়া পাওয়ার। যার পরিপেক্ষিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হয়- ‘কেউ কথা রাখেনি, সাত বছর কাটল, কেউ কথা রাখেনি’।

বিপিএল নিয়ে আমাদের গল্পটা যেন গ্রামের বউঝিদের সাথে মিলে যায়। তাদের জীবনের সাথে মিশে যায়। অনেক স্বপ্ন আর আশা-ভরসা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি এলেও সময়ের সাথে চাওয়া-পাওয়ার হিসাবগুলো কেন যেন কখনোই মিলে না৷ কিন্তু তবুও আশায় বুকবেঁধে নিজের মতো করে সংসার করে যায় আনমনে। বিপিএলও তাই। কখনোই কোনো কিছুর পূর্ণতা হয়নি। বরং দিন দিন হারিয়েছে জৌলুশ। তবুও সবাই পথ চেয়ে থাকে, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে!

এত কষ্ট নিয়ে কেন বলছি, কেন এত অভিমান বুকে পোষেছি, কেন এত অভিযোগ তোলে ধরেছি বুঝতে পারবেন আসন্ন অষ্টম আসরের প্রস্তুতির দিকে তাকালে। ৬ দল না ৮ দল, খেলবে কত দল, কোন কোন দল; তা নিশ্চিত যদিও হয়েছে দীর্ঘদিনে। কিন্তু একটা দল রয়ে গেল বিসিবি’র অধীনে। যদিও অবশেষে তার সুরাহা হলো। যার সাথে মিলে যায় জনপ্রিয় গানের কলিটা- ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন। পেলাম খুঁজে এ ভূবনে আমার আপনজন’। নানা নাটকীয়তায় যখন অভিভাবক হারিয়ে বিসিবি’র আওতাধীন হবার পথে, তখনই কিনা ঢাকাবাসীকে আপন করে নিলো মিনিস্টার গ্রুপ।

কিন্তু ডিআরএস রহস্যটা রয়েই গেল। রয়ে গেলো সম্প্রচার ও ধারাভাষ্যের মান নিয়ে ভয়। আর আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার সংকট আগেই ছিলো, এবার লঙ্কানরাও মুখ ফিরাল। এমন আয়োজনে পূর্ণ সফলতা আদৌ আসবে তো! উত্তরটা সময়ই বলে দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement