২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতীয় ক্রিকেটে দুই দুই মহারথীর ইগোর লড়াই

ভারতীয় ক্রিকেটে দুই দুই মহারথীর ইগোর লড়াই - ছবি : সংগৃহীত

১৬ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করার পর, ১৫ জানুয়ারি ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্বও ছেড়ে দিলেন বিরাট কোহলি। মাঝে ভারতীয় ক্রিকেটে ঘটে গিয়েছে বহু ঘটনা। চরমে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে বিরাট কোহলির তীব্র মনোমালিন্য। ইগোর লড়াইয়ের জেরেই শনিবার টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন কোহলি।

এই চার মাসে ঠিক কী কী ঘটেছে, দেখে নিন এক ঝলকে

১৬ সেপ্টেম্বর : স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যে তিনি এই ফর্ম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দেবেন না জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি।

৮ নভেম্বর : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে খেলে ভারত। আর সেই ম্যাচেই শেষবার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব দেন বিরাট কোহলি।

৮ ডিসেম্বর : বিরাট কোহলিকে ওডিআই-এর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। সেই জায়গায় রোহিত শর্মাকে তারা অধিনায়ক বেছে নেয়।

১৫ জানুয়ারি : টেস্টের অধিনায়কত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলেন বিরাট কোহলি।

১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি, প্রায় চার মাস ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে কম পানিঘোলা হয়নি। হয়েছে বহু বিতর্ক। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১-২ সিরিজ হেরে শনিবার সব ধরনের নেতৃত্ব থেকেই অব্যাহতি নিলেন বিরাট কোহলি।

মাঝে কোহলিকে ঘিরে কিছু বিতর্ক এখনো ভারতীয় ক্রিকেটকে প্রভাবিত করছে-

১. টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে শেষ বার নেতৃত্ব দিতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দু'টি ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের। এই দু'টি ম্যাচে টিম নির্বাচন নিয়ে কোহলিকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কোহলিও ঘুরিয়ে দাবি করেছিলেন, তিনি তার পছন্দ মতো দল পাননি।

২. স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেও কোহলি ওডিআই নেতৃত্ব ছাড়তে চাননি। জোর করেই তাকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। বোর্ড নাকি কোহলিকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল, কিন্তু কোহলি রাজি না হওয়ায় তাকে বিসিসিআই-এর তরফেই সরিয়ে দেয়া হয়।

৩. টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে কোহলির মত-পার্থক্য ঘিরে তীব্র পানিঘোলা হয়েছে। এবং যার রেশ এখনো রয়েছে।

বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ বলেছিলেন, বোর্ড বিরাট কোহলিকে টি-২০ ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করেছিল। তিনি নিজে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন বিরাটের সাথে। এ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বিরাট কোহলি জানান, তাকে কেউ ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করেননি। সুতরাং কে সত্যি বলেছেন, আর কে মিথ্যে, তা নিয়ে এখনো জল্পনা রয়েছে।

৪. ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ জিতলেও, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কোহলির নেতৃত্বে মুখ থুবড়ে পড়ে ভারত। প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতলেও, পরপর দুই টেস্টে হেরে সিরিজ ১-২ হেরে যায় ভারত। কোহলির স্ট্র্যাটেজি নিয়েও সুনীল গাভাসকরের মতো অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

৫. সব মিলিয়ে বিসিসিআই-এর দিক থেকে কোহলি চাপ অনুভব করছিলেন বলেই টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনেকেই দাবি করছেন। আর কোহলির নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে সৌরভকেই।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল