২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা হলো না ভারতের

ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করছেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন - ছবি : এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা হলো না ভারতের। ভাঙাচোরা দল এবং কম অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়েই বাজি মেরে বেরিয়ে গেল ডিন এলগারের দল। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ৭ উইকেটে।

ক্যাপটাউনের এ ম্যাচে শুক্রবার চতুর্থ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৮ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১১১ রান। কিন্তু প্রথম থেকেই ভারতীয় বোলারদের অনায়াসে খেলে দিতে থাকেন কিগান পিটারসেন এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।

যশপ্রীত বুমরা এবং মুহাম্মদ শামিকে নিয়ে দু’দিক থেকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। কিন্তু অনমনীয় মনোভাব নিয়ে ক্রিজে পড়ে থাকা পিটারসেন এবং ডুসেন কোনোভাবেই হারতে রাজি ছিলেন না। শুরুতেই ডুসেনের ব্যাট প্রায় ছুঁয়ে অন্তত দু’বার বল গিয়েছিল ঋষভ পন্থের কাছে। কিন্তু কোনোবারই ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কাটা দেন শার্দুল ঠাকুর। ফিরিয়ে দেন উইকেটে জমে যাওয়া পিটারসেনকে।

শতরানের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায় পিটারসেনের কাছে। কিন্তু এই টেস্টের ভবিষ্যৎ ততক্ষণে লিখে দিয়েছিলেন তিনি। পিটারসেনের বদলে নামা তেম্বা বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ডুসেনের সাথে তাল মিলিয়ে দলকে জয়ের পথে পৌঁছে দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি তার। চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দমনীয় মনোভাবের সামনে দাঁত ফোটাতেই পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।

টেস্ট সিরিজ হারার পরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে এবং প্রথমেই সামনে চলে আসছে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ইনিংসে পন্থ অপরাজিত শতরান করলেও বাকি কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। কোহলি নিজেও ব্যর্থ।
২১২ রান এই ধরনের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলার জন্য কোনোমতেই যথেষ্ট নয়। আগেই সে কথা বলে দিয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞরা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ৭ উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ বের করে নিল এলগারের দল।

প্রশংসা প্রাপ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদেরও। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে হেরে মনোবল অনেকটাই ভেঙে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি তারা। প্রথমে জোহানেসবার্গের মতো মাঠে ভারতকে হারাল এলগারের দল। তারপরে কেপটাউনে কার্যত উড়িয়ে দিল কোহলিদের।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement