২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ

পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ - ছবি : এএফপি

টপ অর্ডার ভালো করলে ম্যাচটি ড্র হতে পারত সহজেই। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার কারণে হয়নি। মাঝে লিটন-মুশফিক আশা জাগিয়েছিলেন। মুশফিক-সাকিব ও সাকিব-মিরাজের জুটিও ড্রয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষটা হলো বিষাদেরই।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো স্বাগতিকরা। শেষ দিনে রোমাঞ্চ জাগলেও মুমিনুল শিবির হার মানে ইনিংস ও ৮ রানে।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ডিক্লিয়ার দেয় ৩০০ রানে। জবাবে বাংলাদেশ অল আউট হয় মাত্র ৮৭ রানে। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে মাঝে তিনটি দারুণ জুটি ড্রয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে। ড্রয়ের স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। দিনের খেলা বাকি ছিল মাত্র কয়েকটি ওভার। তা শেষ করে আসতে পারেননি তাইজুল ও এবাদত। সাজিদের বলে এলবি হয়ে ফেরেন তাইজুল। বাংলাদেশ থামে ২০৫ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চার টপ অর্ডার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে প্রথম ফেরেন অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় (৬)। দুই রান করে এরপর বিদায় নেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। টিকতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৮ বলে তিনি করেন ৭ রান। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত শাহিনের শিকার ১১ বলে ৬ রান করে।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ লিটন ও মুশফিক। এই জুটিতে বল মোকাবেলা করেন ১৫০। রান আসে ৭৩। দলীয় ৯৮ রানে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার সাজিদ খান। ৮১ বলে ৪৫ রান করে ফুয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতেও ভালো করেন মুশফিক ও সাকিব। দুজনে বল মোকাবেলা করেন ১১৪টি। রান আসে ৪৯। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনক রান আউট মুশফিকুর রহিম। অল্পের জন্য পাননি ফিফটি। ১৩৬ বলে তিনি করেন ৪৮ রান।

সপ্তম উইকেট জুটিও আশা দেখাচ্ছিল। সাকিবের সাথে তখন ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটি বল মোকাবেলা করেন ১৩৯টি। রান আসে ৫১। দলীয় ১৯৮ রানের মাথায় সবাইকে হতাশ করে পার্টটাইম বোলার বাবর আজমের বলে এলবির শিকার হন মিরাজ। ৭০ বলে তিনি করেন ১৪ রান।

দলীয় স্কোরে দুই রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৬৩ রানের মাথায় সাজিদের বলে বোল্ড তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। সাকিবের বিদায়ের পরই ত্বরান্বিত হয় বাংলাদেশের হার।
শেষের দিকে তাইজুল চেষ্টা করেছেন অনেক। কিন্তু পারেননি। মাত্র কয়েক ওভার বাকি থাকতে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ৩১ বলে ৫ রান করেন তাইজুল ইসলাম। ৭ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি পেসার খালেদ আহমেদ। ১৩ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত এবাদত হোসেন।

বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে ৪টি উইকেট নেন স্পিনার সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। মোট ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন আবিদ আলী।


আরো সংবাদ



premium cement