প্রথম সেশনে তাইজুলের জোড়া আঘাতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৪৪, আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:১২
প্রথম সেশনের শুরুতে দুর্বার গতিতে রান তুলছিল পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে ১৮ ওভারে ৫৭ রান তুলে নেন আবিদ আলি ও আবদুল্লাহ শফিক। এর পরের ওভারেই বোল্ড করে শফিককে সাজঘরে ফেরান তাইজুল। পরে ২৫তম ওভারে আরেক ওপেনার আবিদ আলিকেও সাজঘরে ফেরান তাইজুল।
প্রথম সেশনে ৩১ ওভার খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭৮ রান। ক্রিজে আছেন বাবর আজম ও আজহার আলি।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের কাছে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ১০টায়।
২য় টেস্টে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত টাইগাররা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি সাকিব। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সবগুলো ম্যাচই হারে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে পাকিস্তান জয় পেলে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টেই খেলার পথে ছিলেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় সাইডলাইনে বসে থাকতে হয় তাকে। প্রথম টেস্টে ৪৪ রানের লিড পেয়েও ৮ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে ম্যাচের প্রথম ইনিংস টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। দু’জনের ব্যাটিংয়ের সাথে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১১৬ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট শিকার করেন। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দলের কোনো উপকারে আসেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যটাররা ব্যর্থ হওয়ায় সহজ জয় পায় পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল বাংলাদেশের। মুশফিক-লিটন ও তাইজুল ছাড়া স্বাগতিক দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঘাটতি ছিলো চোখে পড়ার মত। যে কারণে সাকিবের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে ফুটে উঠে।
গতকাল মোমিনুল জানান, বাংলাদেশ যদি সবকিছু ঠিকঠাক করতে না পারে, তাহলে টেস্ট সিরিজে তাদের কামব্যাক করার কোনো উপায় নেই।
তবে মিডল-অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলি চৌধুরী নিজের অভিষেক টেস্টে পাকিস্তান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট পিচ ডেলিভারিতে মাথায় বলের আঘাত পাবার আগে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছিলেন। পরে ইয়াসির মাঠ ছাড়লে নুরুল হাসান সোহান কনকাশন সাব হন। দ্বিতীয় টেস্টে ভালো পারফরমেন্সের জন্য প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো সংশোধন করতে আগ্রহী দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ১টি টেস্ট ড্র হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একটি টেস্ট ড্র হয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২২টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে, হেরেছে ৯২টিতে। এর মধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারে। বাকি ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা