২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদ্রোহের পর ক্ষমা চাইলেন ডিকক

বিদ্রোহের পর ক্ষমা চাইলেন ডিকক - ছবি : সংগৃহীত

বিদ্রোহে ইতি টেনে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটার কুইন্টন ডিকক। দলের সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ডিকক জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে সবার সাথে হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাবেন। ৩২ বছরের ডিকক দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বাকি ম্যাচগুলো খেলতে চান বলেও জানিয়েছেন। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি আমার হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদে বাকিদের শিক্ষা হয় আর অন্যদের জীবন ভালো হয় তাহলে আমি খুশির সাথে সেটা করতে রাজি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের তরফে বার্তা এসেছিল, গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য ম্যাচের আগে ক্রিকেটাররা যেন হাঁটু মুড়ে বসেন। বোর্ডের সেই প্রস্তাবে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন ডিকক। বোর্ডের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন তারকা।

বিবৃতির শুরুতে ডিকক বলেছেন, প্রথমেই আমি সতীর্থ ও দেশের ফ্যানদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি কখনোই এটি আমার ব্যক্তিগত সমস্যা করতে চাইনি। আমি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর গুরুত্ব বুঝি। আর এটিও জানি, খেলোয়াড়দের দৃষ্টান্ত তৈরি করার দায়িত্ব সম্পর্কে। যদি আমার হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদে বাকিদের শিক্ষা হয় আর অন্যদের জীবন ভালো হয় তাহলে আমি খুশির সাথে এটি করতে রাজি।

তিনি আরো বলেছেন, আমি কোনোভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে না খেলে কাউকে আঘাত করতে চাইনি। ক্যারিবিয়ান টিমের বিরুদ্ধে তো নয়ই। জানি না, কিছু মানুষ এটি নিয়ে ভুল বুঝেছে মঙ্গলবার সকালে। আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই আঘাত। ভুল বোঝাবুঝি ও রাগের জন্য। যারা জানেন না, তাদের বলতে চাই, আমি মিশ্র জাতির পরিবার থেকে এসেছি। আমার সৎ মা কৃষ্ণাঙ্গ ও সৎ বোনরাও। তাই আমার কাছে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার জন্ম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো আন্তর্জাতিক আন্দোলনের জন্য নয়।

‘ব্যক্তির থেকে সমষ্টির সমানাধিকার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে ছোট থেকে এটা বোঝানো হয়েছে। সবার সবরকম অধিকার আছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, বাকিদের মতো আমাকে এটি করতে বলায় আমার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে।’ শেষে তিনি বলেছেন, আমি বুঝতে পারছি না, এটি আচরণের মাধ্যমে আমি কী প্রমাণ করতে পারব! যখন প্রতিনিয়ত আমি সব মানুষকে ভালোবাসছি। কিন্তু যখন কোনো আলোচনা ছাড়াই আমাকে এটি করতে বলা হচ্ছে, তখন মনে হলো কোনো মানে হয় না এর। আমি যদি বর্ণবিদ্বেষী হতাম তাহলে মিথ্যাচার করে হাঁটু মুড়ে বসতাম। যেটি অন্যায় আর সমাজের জন্য ভালো নয়।

ডিকক বিবৃতিতে আরো বলেন, অনেকেই আমাকে বোকা, মাথামোটা, স্বার্থপর, অপরিণত বলেছে। আগেও বলেছে। তবে তা আমাকে অত আঘাত দেয়নি। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাকে বর্ণবিদ্বেষী বলায় আমি আঘাত পেয়েছি। এটি আমার পরিবারকে আঘাত করেছে, গর্ভবতী স্ত্রীকেও। আমি বর্ণবিদ্বেষী নই। যারা আমাকে চেনে তা তারা জানে।

সূত্র : দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


আরো সংবাদ



premium cement
বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

সকল