২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাকিবের জোড়া উইকেটে জয়ের আশা দেখছে বাংলাদেশ

- ছবি : সংগৃহীত

১৭তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে জোড়া উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। তাতে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওমান হারাল সপ্তম উইকেট। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ৩ উইকেট পেলেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব। প্রথমে আয়ান খান লং অফে সীমানায় ক্যাচ দেন। পরের বলে নাসিম খুশি একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ১৮ বলে ওমানকে জিততে হলে ৪৭ রান করতে হবে।

ওমান শিবিরে সাইফ উদ্দিনের আঘাত
শেষ ৩০ বলে ৫৪ রান তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে শেষ দিকে ব্যাটিং করছে ওমান। কিন্তু ১৬তম ওভারে শুরুতেই আঘাত করলেন সাইফ উদ্দিন। ডানহাতি পেসারের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন সন্দীপ গৌদ (৪)।

এর আগে ওমান ১৫তম ওভারে দলীয় শতরান তুলে নেয়। তবে পঞ্চাশ থেকে শতরানে পৌঁছতে ৫২ বল লেগেছে তাদের। এর আগে পঞ্চাশ রান পেয়েছিল ৩৮ বলে।

দ্রুত উইকেট তুলে স্বস্তি ফেরালেন মেহেদী-সাকিব
৩৪ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদ ও জতিন্দর সিং। বিপদজনক হয়ে উঠার আগে এ জুটি ভাঙলেন মেহেদী। ডানহাতি অফস্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেন জিশান। ১৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান জতিন্দর সিং আউট হন ৪০ রানে। সাকিবের বল উড়াতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন ১০ রানে মাহমুদউল্লাহর হাতে সুযোগ পাওয়া জতিন্দর। ৯ রানে ২ উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।

লক্ষ্যের পথে ছুটছে ওমান, সুযোগের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
লক্ষ্য তাড়ায় আগ্রাসন দেখিয়ে রান তুলছে ওমান। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের রান ৭০। শেষ ৬০ বলে তাদের প্রয়োজন ৮৪ রান। বাংলাদেশকে হারিয়ে জিততে পারলে প্রথমবারের মতো বিশ্বআসরের মূল পর্বে খেলা একরকম প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। বাংলাদেশ আজ হেরে গেলে বিশ্বকাপের মিশন শেষ হবে বাছাই বা প্রথম পর্বেই।

ক্যাচ ড্রপ, ছক্কা এবং উইকেটের ওভার
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারটি ছিল নাটকীয়। মোস্তাফিজের বল স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন জতিন্দর। ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এক বল পর প্রজাপতি মিড উইকেট দিয়ে হাঁকান ছক্কা। পরের বলে প্রতিশোধ নেন মোস্তাফিজ। অফস্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ২১ রান করা প্রজাপতি। ৬ ওভারে ওমানের রান ৪৭। হারিয়েছে ২ উইকেট। পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ২৯।

১১ বলের ওভারে মোস্তাফিজের ১ উইকেট
নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। তাসকিন প্রথম ওভারে ১২ রান খরচ করলেও মোস্তাফিজের বোলিং শুরুতে ছিল নিয়ন্ত্রিত। তাতে মিলে সাফল্য। আকিভ ইলিয়াসকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরের পথ দেখান। এরপর লাগাতার ওয়াইড দেন। সব মিলিয়ে ৫টি। একটি ছক্কাসহ তার ওভার থেকেও আসে ১২ রান। সব মিলিয়ে ১১ বলে ওভার শেষ করেছেন মোস্তাফিজ।

১৫৪ রানের টার্গেট
টিকে থাকার লড়াইয়ে ওমানকে ১৫৪ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৩। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ বাংলাদেশকে ওমানের বিপক্ষে জিততেই হবে।

এর আগে মাসকাটের আল-আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথমে টস জিতে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ওমানের বোলিংয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দুইবার জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ওপেনার লিটন। বিলালের ইয়র্কার মিস করে এলবিডব্লু হন তিনি। এতে ব্যর্থতার ঝুলি পূর্ণ করে মাত্র ৬ রান করেই ফিরলেন লিটন।

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের পছন্দের ব্যাটিংয়ের জায়গা তিন নাম্বারে। কিন্তু দ্রুত লিটনের বিদায়ে আজ সাকিবের জায়গায় মেহেদীকে নামায় বাংলাদেশ। মেহেদীকে নামানোর মূল কারণ ছিল, দ্রুত রানের গতি বাড়ানো। কিন্তু ফায়াজ বাটের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে আউট হন তিনি। এতে ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন মেহেদী।

তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন নাঈম ও সাকিব। দুজন মিলে দ্রুত ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকেই নিতে থাকেন। দারুণ ছন্দে ব্যাট করতে থাকা সাকিব হুট করেই হয়ে যান রান আউট। আউট হওয়ার আগে ২৯ বল খেলে করেন ৪২ রান। সাকিব ফেরার পর ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন নাঈম। ৪৩ বলে এ মাইলফলক পূর্ণ হয়েছে তার।

এরপর ঝুঁকি নিয়ে বিদায় নিলেন সোহানও। দ্রুত রান তুলতে সোহানকে পাঠানো হয়েছিল পাঁচ নম্বরে। কিন্তু দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলেন না। ঝুঁকি নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সোহান ফিরলেন ৩ রানে। এরপর কলিমউল্লাহর বলে যতিন্দরের হাতে ধরা পড়েন আফিফ হোসেন। ৫ বলে ১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি।

আফিফ হোসেনকে ফেরানোর পর একই ওভারে নাঈম শেখকে ফেরান কলিমউল্লাহ। জোড়া উইকেটে বাংলাদেশের রান থামিয়ে রাখেন এ পেসার। তার বাউন্সার তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৫০ বলে ৬৪ রান করা নাঈম। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি ওপেনার।

শেষদিকে ৬ রানে মুশফিক, ১৭ রানে মাহমুদউল্লাহ, শূন্যরানে সাইফউদ্দিন এবং ২ রানে আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। আর তাসকিন অপরাজিত থাকেন ১ রানে। ওমানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন বিলাল খান ও ফয়েজ বাট। এছাড়া দুটি পেয়েছেন কলিমুল্লাহ।

বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

ওমান একাদশ : জিশান মাকসুদ (অধিনায়ক), আকিব ইলিয়াস, জতিন্দর সিং, কাশ্যপ প্রজাপতি, খাওয়ার আলি, মোহাম্মদ নাদিম, আয়ান খান, সন্দিপ গোউদ, কলিমুল্লাহ, বিলাল খান ও নাসিম খুশি।


আরো সংবাদ



premium cement