২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমিরাত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমিরাত - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের করণে ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাটিতে সরিয়ে নেয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আসর সফলভাবে শেষ হলো শুক্রবার রাতে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্য এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)।

বিশ্বকাপ আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে করোনার কারণে তা ভারতের পরিবর্তে মরুরদেশে আয়োজনের সিদ্বান্ত নেয় বিসিসিআই ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)। সফলভাবে আইপিএল আয়োজনের পর এবার সংক্ষিপ্ত ভার্সনের বিশ্বকাপটি সুন্দরভাবে শেষ করতে চায় ইসিব। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে টুর্নামেন্টের মূল পর্ব। বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ওমানে।

এর আগে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হয়েছিল আইপিএলের চর্তুদশ আসর। করোনার কারনে ২৯ ম্যাচ পর স্থগিত হয় আসরটি। আইপিএলের চর্তুদশ আসরকে ঘিরে ধরে অন্ধকার। শেষমেষ আসরের বাকি ৩১ ম্যাচ শেষ করতে মরুরদেশে পা রাখে বিসিসিআই।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে মরুর দেশে শুরু হয় আইপিএলের বাকি অংশ। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে আইপিএলের বাকি অংশ শেষ করলো ইসিবি। শুক্রবার চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো আইপিএল।

আইপিএলের সফল আয়োজন শেষে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসর আয়োজনের চ্যালেঞ্জ ইসিবির সামনে।

আইপিএলে ভেন্যু আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটার-বোলারদের সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এ মাঠে ব্যাটাররা রান করেছেন-২ হাজার ৪৭৫।

বোলাররা নিয়েছেন ৯১ উইকেট। মোট ১৫ হাজার ২শ সমর্থক নিরাপদে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখেছেন। ভেন্যুর ধারণক্ষমতা ছিল ২ হাজার। আট ম্যাচেই ৯৫ শতাংশ সমর্থক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল।

টুর্নামেন্টের সাথে জড়িত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, প্রতিটি খেলার জন্য ৫০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং মার্শাল ছিল। সেইসাথে আবুধাবি পুলিশের ৫০ জন সদস্য এবং আরো ৪৭ জন আবুধাবি ক্রিকেট স্টাফ সদস্য ছিলেন।

আবুধাবিকে নিজেদের হোম গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই ভেন্যুতে ১৫০ ঘণ্টারও বেশি অনুশীলন সেশন করেছিল কলকাতা ও মুম্বাই।

আবুধাবির সুযোগ সুবিধার প্রশংসা করেন কলকাতার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। তিনি বলেন, ‘প্রধান মাঠ হিসেবে আবুধাবি ক্রিকেট কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। দু’টি ছোট মাঠ এবং আরেকটি মাঠ যেখানে উইকেট রয়েছে এবং পূর্ণ রান আপে বল করতে পারে বোলাররা। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এটি বিশ্বের সেরা ভেন্যুগুলোর একটি হতে যাচ্ছে।’

কোচ অস্কার নওহাউসের সুপারিশের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে আনা হয় জায়েদ ক্রিকেট একাডেমির ২১ বছর বয়সী রাইস আয়ান এবং ১৮ বছর বয়সী সেলিস জয়শঙ্করকে। তারা ফ্র্যাঞ্চাইজির দলে নেট বোলার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কলকাতাকে নকআউট পর্বে পৌঁছাতে সাহায্য করে তারা।

আবুধাবি ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ম্যাট বাউচার বলেন, ‘আবুধাবিতে আটটি আইপিএল ম্যাচ ছিল অবিশ্বাস্য এবং জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আমাদের ক্রিকেট ভক্তদের ফিরতে দেখাটাও ছিল অসাধারণ। আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের বদ্ধপরিকর আবুধাবি ক্রিকেট।’

বাছাই পর্ব দিয়ে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড। দু’টি ম্যাচই হবে ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে।

তবে ১৮ অক্টোবর থেকে আবুধাবির বিশ্বকাপ শুরু হবে। জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাছাই পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে খেলবে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড এবং দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে নামিবিয়ান ও শ্রীলঙ্কা।


আরো সংবাদ



premium cement