২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাজে ব্যাটিংয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

বাজে ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। - ছবি : সংগৃহীত

জিততে হলে করতে হবে ১৬৭ রান। সেখানে ৬৮ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট। পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল পুরোদমে। শেষের দিকে ভরসার জায়গা ছিল আফিফ, অভিষিক্ত শামিম ও সাইফউদ্দিন। এই তিনজন ঝলক দেখালেও শেষটা মলিন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিংয়ে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

শুক্রবার হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনলো জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৮ উইকেটে। আগামী রোববার সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। জবাবে বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১৪৩ রানে।

লক্ষ্যটা চ্যালেঞ্জিং। শুরুটা হওয়া দরকার ছিল আগের ম্যাচের মতো। কিন্তু হয়নি। তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার।

জায়গায় দাঁড়িয়ে মুজারাবানির বল খেলার চেষ্টায় সফল হননি নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প এলোমেলো করে দেয় বল। এক চারে তরুণ এই ওপেনার করেন ৫ রান।

দুই বল পর ফিরে যান সৌম্যও। কাভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টার সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনি এক চারে ৭ বলে করেন ৮। আগের ম্যাচে ফিফটি করা দুই ওপেনার এবার ব্যর্থ হলেন দুই অঙ্কে যেতে। ৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১৭।

সাকিব ও মেহেদী এরপর দলকে টানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় আউট হন সাকিব আল হাসান। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করে মাসাকাদজার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। খুব বাজে শট ছিল এটি।

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৫২ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন। ৬ বলে ৪ রান করে রিয়াদও মাসাকাদজার শিকার। দলীয় স্কোরে এক রান যোগ হওয়ার পর মেহেদীর বিদায়। মাসাকাদজার নবম ওভারেই বাংলাদেশ হারায় দুটি উইকেট। ১৯ বলে ১৫ রান করে মেহেদী ফেরেন বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসান সোহান ও আফিফও বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৮ বলে এক চারে ৯ রান করে চাতারার শিকার সোহান। দলীয় স্কোর তখন ৬ উইকেটে মাত্র ৬৮ রান, ওভার ১১.২।

সপ্তম উইকেট জুটিতে ভরসা ছিল আফিফ ও তরুণ অভিষিক্ত শামীমকে নিয়ে। কারণ দুজনই হার্ড হিটার। অভিষিক্ত শামিম পাটোয়ারি ঝড় তুললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় করেন ২৯ রান। এটিই বাংলাদেশের ইনিংসে কারো ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। এই জুটি থেকে আসে ৪১ রান, এটাও সর্বোচ্চ জুটি।

সাইফউদ্দিন ও আফিফ জুটিতেও চোখ ছিল সবার। কিন্তু ক্লিক করেনি। প্রয়োজনের খাতিরে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন আফিফ দলীয় ১২৭ রানের মাথায়। ২৫ বরে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। ১৫ বলে ১৯ রান করে সাইফউদ্দিনের আউটের পর সব আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অল আউট ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও জিম্বাবুয়ের বড় স্কোরে বাধা হতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও দলীয় ১৫ রানে মেহেদী ব্রেুক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মারুমানিকে (৩) বোল্ড করে। পরে মাধেভেরের ফিফটি ও মিডল অর্ডারে ডিওন মায়ার্স ও রায়ান বার্লের ব্যাটে দেড় শ’ অতিক্রম করে জিম্বাবুয়ে।

সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন মাধেভেরে। ৫৭ বলের ইনিংসে তিনি হাকান পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা। ২১ বলে ২৬ রান করেন ডিওন মায়ার্স। ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রায়ান বার্ল। বাংলাদেশ শেষ পাচ ওভারে রান দিয়েছে ৫০।


আরো সংবাদ



premium cement