১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইপিএল বন্ধে বোর্ডের ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকার বেশি

-

করোনার গ্রাসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রতিদিন বায়ো-বাবেলে থাকা ক্রিকেটাররা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার মাঝপথেই এ বছরের আসর স্থগিত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিসিসিআই। আর এতে বোর্ডের ক্ষতি দু’ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা।

আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ শুরু হয়েছিল ৯ এপ্রিল। আর শেষ ম্যাচ হয়েছে ২ মে। সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কারণ নিয়মানুসারে দলের কোনো ক্রিকেটারের কোভিড রিপোর্ট এলে দলের বাকি সদস্য অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিনের আইসোলেশনে থাকতে হয়। ফলে সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। এদিন চেন্নাই সুপার কিংস দলের সাথে যুক্ত তিনজনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

মঙ্গলবার আবারো করোনা আক্রান্ত হন আইপিএলের একাধিক ক্রিকেটার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্রের কোভিড টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপরই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকের পর আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ আপাতত স্থগিত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বোর্ড কর্মকর্তা ও গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা।

বৈঠকের পরই বিসিসিআই ভাইস-প্রেসিডেন্ট শুক্লা জানান, ‘বোর্ডের সকল কর্মকর্তা, কাউন্সিলের সদস্য ও ফ্রাঞ্জাইজি এবং ব্রডকাস্টারের সাথে আলোচনা করার পর আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইপিএল শুরু করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দেশে করোনার যা পরিস্থিতি তাতে চলতি বছরে আইপিএল আর শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে মাত্র ২৯টি ম্যাচের পরই বন্ধ করে দিতে হলো ৫২ দিনের এই টুর্নামেন্ট। ৬০ ম্যাচের টুর্নামেন্টের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ৩০ মে। কিন্তু মাত্র ২৪ দিন পরেই করোনার গ্রাসে স্থগিত করে দিতে হলো আইপিএল। এর ফলে বোর্ডের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘মাঝপথে আইপিএল স্থগিত হওয়ায় বোর্ডের ২০০০ থেকে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। মোটামুটি ২২০০ কোটি টাকা হবে।’

৬০টি ম্যাচের এই টুর্নামেন্টের জন্য স্টার স্পোর্টস থেকে প্রতি বছর ৩২৬৯.৪ কোটি টাকা পায়। অর্থাৎ ম্যাচ পিছু ৫৪.৫ কোটি টাকা। ফলে চলতি আইপিএলে ২৯ ম্যাচের জন্য বোর্ড স্টার স্পোর্টসের থেকে পাবে ১৫৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১৬৯০ কোটি টাকা কম। এছাড়াও টাইটেল স্পন্সর ভিভোর থেকে প্রতি মরশুমে বোর্ড পায় ৪৪০ কোটি টাকা। কিন্তু বোর্ডে এবার অর্ধেকের কম টাকা পাবে। এছাড়াও অনান্য স্পন্সরের থেকে মরশুমে বোর্ডের পাওয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি টাকা। এখানেও প্রায় অর্ধেক টাকা পাবে বোর্ড।

সূত্র : কলকাতা২৪


আরো সংবাদ



premium cement