২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জেলখানার আবহে মিরাজ

জেলখানার আবহে মিরাজ - ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। মাঠের লড়াই এখনো অনেক দূরে। ক্রিকেটাররা বর্তমানে রয়েছে কার্যত চার দেয়ালে বন্দী। টানা তিন দিন পর ত্রিশ মিনিটের জন্য রোববার হাঁটার সুযোগ দেয়া হয় টাইগারদের। নিজের অভিজ্ঞতা ভিডিও বার্তায় শেয়ার করেছেন দলের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই কয়েক দিন তার কাছে জেলখানার মতো লেগেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউজিল্যান্ড সরকারের আছে কড়ানীতি। সেদেশে বিদেশ থেকে কেউ ভ্রমণ করলেই যেতে হয় কোয়ারেন্টিনে। দফায় দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়াও ১৪ দিন কড়া কিছু নিয়ম পালন করার পর ঘটে মুক্তি। এই সময়ে পাওয়া যায় না কোনো রুম সার্ভিসও।

নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন কেমন লাগছে। এই প্রথম পাঁচটা দিন হোটেলের ভেতর কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না, কারো সাথে দেখাও হয়নি। প্রথম তিন দিন তো ফোনে ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে। ভিডিও কলে কথা হয়েছে এক রুম থেকে আরেক রুমে। অনেকটা বিরক্ত লাগছিল। তবে যেহেতু পাঁচ দিন কেটে গেছে। আশা করি আরো দু’দিন সহজেই কেটে যাবে।’

‘প্রথম তিন দিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপরে আধাঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন প্রথম দিন বেরিয়েছিলাম গতকাল, আমার মাথা একটু ঘুরছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঠিক হয়েছে। প্রথম তিন দিন যে ঘরের ভেতর বন্দী ছিলাম। আমার নিজের মনে হচ্ছিল জেলখানায় আছি। হতাশা কাজ করছিল, এরকম অনুভূতি হচ্ছিল আরকি। বাইরে বেরিয়ে এসে এখানকার আবহাওয়ার সাথে মানালাম তখন একটু ভালো অনুভূতি হচ্ছিল। একটু ফ্রেশ লেগেছে।’

নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনূসের সাথে রোববার মিরাজসহ বের হয়েছিলেন, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। প্রথম সাত দিন ৩০ মিনিট হাঁটা ছাড়া বাকিটা সময় নিজেদের কক্ষেই বন্দি থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। অষ্টম দিনে গিয়ে ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে মাঠে হালকা অনুশীলন আর জিমের সুযোগ মিলবে।

২০ মার্চ ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের সিরিজ। ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে বাকি দুই ম্যাচ। ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি, ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ও ১ এপ্রিল শেষ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল।


আরো সংবাদ



premium cement