২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বেক্সিমকো ঢাকা

প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বেক্সিমকো ঢাকা - ছবি : নয়া দিগন্ত

টানা তিন ম্যাচে হার। অনেকটাই বিপর্যস্ত ছিল বেক্সিমকো ঢাকা। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে একটি জয় ছিল খুবই আকাঙ্ক্ষিত। বুধবার মিরপুরে লো স্কোরিং ম্যাচেও রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে দলটি। ফরচুন বরিশালকে সাত উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে মুশফিক ব্রিগেড।

আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার বোলিং তোপে ৮ উইকেটে ১০৮ রানে থামে বরিশাল। জবাবে শুরুতে ধুঁকলেও শেষ পর্যন্ত মুশফিক-ইয়াসিরের চমক লাগানো অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দারুণ জয় পায় ঢাকা। তাও সাত বল হাতে রেখে। চার ম্যাচে প্রথম জয় এটি ঢাকার। অন্যদিকে চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয় বরিশালের।

জয়ের জন্য ১২ বলে ১৬ রান দরকার ছিল ঢাকার। ম্যাচে ছিল ঠাসা উত্তেজনা। কিন্তু ১৯তম ওভারে ইয়াসির আলী সব উত্তেজনার অবসান ঘটান তাসকিনকে দুই ছক্কা হাকিয়ে। প্রথম বলে ছক্কা, দ্বিতীয় বলে দুই রান। তৃতীয় বলে এক রান। স্ট্রাইক নিয়ে মুশফিক নেন এক রান। পঞ্চম বলে দারুণ ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন ইয়াসির।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার শুরুটা ছিল খুব ধীর লয়ে। ওপেনিংয়ে নামেন বল হাতে দারুণ চমক দেখানো রবিউল ইসলাম রবি। অনেক বল খরচ করলেও থিতু হতে পারেননি তিনি। ১২ বলে মাত্র দুই রান করে রান আউট তিনি। দলীয় রান তখন ৭, ওভার ২.৪। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের সাথে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও উইকেট আঁকড়ে থাকতে চেয়েছেন। তিনিও পারেননি। রবির মতো তিনিও রান আউট। ২০ বলে এক চারে নাঈম করেন মাত্র ১২ রান।

রানের মন্থর গতি ও ২৩ রানে দুই উইকেট হারানো ঢাকাকে তখন পথ দেখানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুশফিক ও তানজিদ হাসান। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৫৪ রান পর্যন্ত। জুটি ভাঙেন বরিশালের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান। দুটি চার ও একটি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে।

অপর প্রান্তে অধিনায়ক মুশফিক অনেকটাই ধীরস্থির। দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। নতুন সঙ্গী তখন ইয়াসির আলী। এই জুটির সাবলিল ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের দিকে আগাতে থাকে বেক্সিমকো ঢাকা। শেষ পর্যন্ত এই জুটিকে আর বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি বরিশালের কোনো বোলার। শেষের দিকে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে এই জুটি। বিশেষ করে ইয়াসির আলী। সাত বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ঢাকার তরী। ৩০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী। ৩৪ বলে এক চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকেছে ফরচুন বরিশাল। ২৮ রানের মধ্যেই দলটি হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। একে একে বিদায় নেন সাইফ হাসান (৯), পারভেজ হোসেন ইমন (০) ও আফিফ হোসেন (০)। তিনজনকেই সাজঘরে ফেরান ঢাকার অফ স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি। দলের শুরুর বিপর্যয় রোধ করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সাথে জুটি দলকে নিয়ে যান ৬৫ রান পর্যন্ত। এরপর ছন্দপতন। ভালো খেলতে থাকা তামিম ইকবাল রবির শিকার। ক্যাচ তুলে দেন মুক্তার আলীর হাতে। ৩১ বলে ৩১ রান করেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। তিন চারের পাশাপাশি এক ছক্কা হাঁকান তামিম।

তামিমের বিদায়ের পর যেন মিইয়ে যায় বরিশাল। হাতে ভালো মার থাকলেও পারেননি ইরফান শুক্কুর (৩)। মেহেদী হাসান মিরাজ টেস্ট মেজাজে করেন ১৯ বলে ১২ রান। ৩৩ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। দুটি চারের পাশাপাশি তিনি হাঁকান একটি ছক্কা।

তাসকিন, তানভির, রাব্বিরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৮ রান। বল হাতে দারুণ চমক দেখান বেক্সিমকো ঢাকার স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি। ৪ ওভারে ২০ রানে তিনি নেন চারটি উইকেট। শফিকুল ইসলামও দারুণ বোলিং করেছেন। তিন ওভারের মধ্যে দুটিই মেডেন তার। বাকি এক ওভারে দিয়েছেন ১০ রান, উইকেট পান দুটি। রুবেল হোসেন ও নাঈম হাসান নেন একটি করে উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement