২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বরিশালের প্রথম জয়

- সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ষষ্ঠ ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছে বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৬১ বলের অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারের ৬ বল আগেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে যায় তামিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

শনিবার আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩৩ রানেই ইনিংস গুটায় রাজশাহী। মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ৫ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন তামিম। ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন ইমন। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ফের ৬৬ রানের ‍জুটি গড়েন বরিশালের অধিনায়ক। ২৪ বলে ১৭ রানে ফেরেন হৃদয়।

তিন উইকেটে ১১২ রান করা বরিশাল, এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে হারায় ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমেই গোল্ডেন ডাক মারেন আফিফ হোসেন। ইরফান শুক্কুর ফেরেন মাত্র ৩ রানে।  

উইকেটের একপাশ আগলে রেখে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তামিম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে সঙ্গ দেন মেহেদি হাসান অঙ্কন। মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পেয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানের জন্য হাঁসফাঁশ করতে থাকেন রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল ইসলাম ইমন। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা শান্ত এদিন ১৯ বল খেলে করতে পেরেছেন ২৪ রান। পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরে যান রাজশাহীর অধিনায়ক।

তিন নম্বরে নেমে বেশি কিছু করতে পারেননি রনি তালুকদার। মেহেদি মিরাজের বোলিংয়ের সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে করেন ৬ রান। অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার আনিসুল ইমন রানের জন্য খাবি খেতে থাকেন। তার ওপর চাপ আরও বাড়ে চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ আশরাফুল রানআউট হয়ে ফিরে গেলে।

ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিসফিল্ড থেকে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হন ৬ রান করা আশরাফুল। এর আগে দারুণ এক ফ্লিক শটে মিডউইকেট দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক বাউন্ডারি হাঁকান এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। সেই ওভারেই তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান আনিসুল ইমন। প্রথম ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও এদিন ৩ চারের মারে ২৭ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি ইমন।

দশ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহীর চাপ আরও বাড়ে পরের ওভারে নুরুল হাসান সোহান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে গেলে। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মেহেদি হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। হাত খুলে খেলতে থাকেন মেহেদি, একপ্রান্ত আগলে রাখেন ফজলে রাব্বি।

দুজনের জুটিতে ৫০ বলে ৬৫ রান পায় রাজশাহী। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৩২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন ফজলে রাব্বি। শেষ ওভারে কামরুল রাব্বির ইয়র্কার লেন্থের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান মেহেদি। আউট হওয়ার আগে ৩টি ছয়ের মারে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত ১৩২ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।

বরিশালের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এছাড়া আগের ম্যাচের শেষ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খাওয়া মেহেদি মিরাজ আজ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহির ঝুলিতে গেছে ১টি করে উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement