২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিরোপায় চোখ রেখে ভালো শুরুর আশায় মুশফিক

শিরোপায় চোখ রেখে ভালো শুরুর আশায় মুশফিক - ছবি : সংগৃহীত

অপেক্ষার পালা শেষ। মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। উদ্বোধনী ম্যাচে বেলা দেড়টায় মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেমকন খুলনার প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল।

বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামতে হচ্ছে তাদের। শুরুটা ভালো করতে মরিয়া ঢাকার দলটি। অধিনায়ক মুশফিকের চোখ ট্রফিতে। তবে তার মতে, এর জন্য শুরুটা অবশ্যই হতে হবে ভালো।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হন চার দলের ক্যাপ্টেন। ঢাকার অধিনায়ক হিসাবে মুশফিক জানিয়েছেন তার লক্ষ্য, দলের হাল হকিকত।

দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট। রোমাঞ্চিত মুশফিক। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হবে। এই বছরই প্রথম লোকাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করছি বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে যাতে খুব ভালো একটা শুরু করতে পারি এবং সেটা যেন শেষ করতে পারি।’

মুশফিকের প্রথম লক্ষ্য শীর্ষ চার। এরপর শিরোপা। তিনি বলেন, ‘প্রথম লক্ষ্য থাকবে টপ ফোরে যাতে যেতে পারি। অবশ্যই তারপর যাতে ফাইনালটা খেলতে পারি। এরপর আল্টিমেটলি লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নশীপ। সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য আছে। আশা করছি শুরুটা যাতে ভালো করতে পারি।’

বিদেশি কোন প্লেয়ার নেই। সবাই লোকাল। ফলে কম বেশি সবাই সবাইকে চেনে। এটির সুবিধা মানছেন মুশফিকও, ‘সহায়ক তো অবশ্যই। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন লোকাল প্লেয়ার আমরা কিন্তু অলমোস্ট কম বেশি সবারই জানি। পার্টিকুলার ডে তে কি এক্সিকিউশন করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় যারা কম ভুল করবে এবং মাঠে এক্সিকিউশনটা ভালো করবে, তারাই সবচেয়ে রেজাল্ট ভালো করবে। আমি মনে করি সেদিক থেকে আমাদের ব্যালেন্সটাও খুব ভালো আছে। আমাদের এখন মাঠের কাজটা মাঠে করতে হবে।’

টুর্নামেন্টের ফরম্যাট নিয়ে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আসলে রেজাল্ট কখনো গ্যারান্টেড না। হ্যাঁ অবশ্যই টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। একই সঙ্গে দুইটা বা তিনটা প্লেয়ার ভালো খেললে ওই দিন যেকোনো সময় আপনি জিতে যেতে পারবেন। টেস্ট ওয়ানডে আলাদা। এখানে যেটা বলছেন যে অনভিজ্ঞ বা তরুণ । হ্যাঁ অনভিজ্ঞ বা তরুণ হতে পারে কিন্তু তারা অনেক ম্যাচিউরড। আমি শেষ ১৫-১৬ বছর খেলেছি একটা বিশ্বকাপও জিততে পারিনি। আমাদের দলে তেমন তিন-চারজন প্লেয়ার আছে ওই টিমের। ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার চেয়ে তো বড় চাপের কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি ওই রকম মেন্টালিটি বা ম্যাচিউরড প্লেয়ার আছে। তারা যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারে আর আমরা সিনিয়র যারা আছি তাদের সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটবে।’

ঢাকার টিমে প্রথমবারের মতো খেলবেন মুশফিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকাতে খেলা এই প্রথম। সবারই স্বপ্ন থাকে এমন বড় টিমে খেলার। বিশেষত ঢাকায়। আমি খুব ভাগ্যবান যে তারা এবার আমাকে নিয়েছে।

আমি চেষ্টা করবো আমার অনুযায়ী প্রতিদান দেয়ার। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা অনেক সময় নির্ভর করে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কী চায়। প্রেসিডেন্টস কাপ বা অন্যান্য সময় বোর্ডের অধীনে তারা মনে ইয়াং কিছু প্লেয়ার আছে তাদের সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে ভালো হতে পারে। এখন তারা মনে করেছে যে আমি হয়তো সঠিক ব্যক্তি যে গাইড করতে পারে। এই জন্যই নেয়া আসলে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ ক্যাপ্টেন হিসেবে নাম্বার ওয়ান করা। ইনশাআল্লাহ সেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। আমার টিমে যারা আছে তারা যদি সার্পোটটা করে, এটা অসম্ভব না ‘


আরো সংবাদ



premium cement