২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে পারছেন না সিরাজ

সিরাজকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন বাবা, যা এখন শুধুই স্মৃতি - ছবি - সংগৃহীত

ছেলের সাফল্য দেখার জন্য অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন বাবা। সেই স্বপ্নের বাস্তবরূপ দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়েছিলেন। দিন দিন স্বপ্ন আরো ডানা মেল ছিল। কিন্তু এর মাঝেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবাকে শেষবারের মতো দেখতেও পারছেন না ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। এখন অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সাথে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। নিয়মের কারণে বাবার দাফনে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।

শুক্রবার হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে মারা যান সিরাজের বাবা মোহাম্মদ গাউস। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। পেশায় অটোরিক্সা চালক ছিলেন। কিন্তু সেজন্য ছেলের স্বপ্নপূরণে কোনো কিছুরই কমতি হতে দেননি তিনি। নিজের সামান্য রোজগার দিয়েই ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নপূরণে যা কিছু করার করেছিলেন। সিরাজ যখন প্রথমবার আইপিএলে সুযোগ পেলেন, তখন পুরো এলাকায় মিষ্টি বিলিয়ে ছিলেন তিনি। এবার সেই আইপিএলে ভালো খেলার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া সফরে ডাক পড়ে তার।

সিডনিতে গতকাল অনুশীলনের পর বাবার মৃত্যুর খবর সিরাজকে জানান ভারতের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে দেশে ফিরে আবার অস্ট্রেলিয়া ফেরা কঠিন। তাই বাবার দাফনে থাকতে পারছেন না এই পেসার।

সিরাজ বলেন, ‘ বাবার ইচ্ছা ছিল তার ছেলে যেন দেশের জন্য কিছু করে । অবশ্যই আমি তা করার চেষ্টা করবো। বাবার মৃত্যুর খবর আমার কাছে বড় ধাক্কা। জীবনের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হারালাম। দেশের হয়ে আমি খেলছি, এই স্বপ্ন দেখতেন বাবা। আমি খুশি যে বাবার স্বপ্ন সফল করে, তাকে খুশি করতে পেরেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোচ শাস্ত্রী স্যর ও ক্যাপ্টেন কোহলি আমাকে এই খবর জানিয়ে আমাকে শক্ত হতে বলেন।’

ফুসফুসের অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন আগে সিরাজের বাবাকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিরাজ বলেন, ম্যাচের কয়েকদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এ জন্য আমি খুবই উদ্বেগে ছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পর যখন বাড়িতে ফোন করে জানতে পেরেছিলাম যে, বাবা বাড়িতেই আছেন। খুব খুশি হয়েছিলাম। ওই ম্যাচে আরসিবি-র জয়ের পর এই খবর আমার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছিল।

ভারতের এই পেসার বলেন, ‘বাবা আমাকে বলেছিলেন যে, সবাই খুব খুশি। ফোন করে অনেকে তাকে বলছে, তোমার ছেলে আইপিএলে খুব ভালো খেলছে। হায়দরাবাদের সমস্ত খবরের কাগজে তোমার ছবি ছিল।’


আরো সংবাদ



premium cement