২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যাটে শুক্কুর, বলে রুবেল

ব্যাটে শুক্কুর, বলে রুবেল - ছবি : সংগৃহীত

থাকতে পারতেন মুশফিক, তামিম কিংবা রিয়াদ। কিন্তু না। সবাইকে হঠিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন ইরফান শুক্কুর। সাত নম্বরে ব্যাট করেও প্রেসিডেন্টস কাপের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার জিতেছেন নাজমুল একাদশের এই প্লেয়ার। টুর্নামেন্ট সেরা বোলারের খেতাব জিতেছেন রুবেল হোসেন। চ্যাম্পিয়ন দলের গর্বিত সদস্য তিনি। ট্রফি মেডেলের পাশাপাশি শুক্কুর ও রুবেল ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে।

ম্যান অব দি টুর্নামেন্টের খেতাব জিতেছেন নাজমুল একাদশের মুশফিকুর রহীম। ৫ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৯ রান তার। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ টাকা। মুশফিকের চেয়ে ৫ রানে পিছিয়ে শুক্কুর। তবে গড় ও স্ট্রাইক রেটে অনেক শুক্কুর। মুশফিকের গড় ৪৩.৮০, স্ট্রাইক রেট ৬৮.০১। ইরফানের গড় ৭১.৩৩, স্ট্রাইক রেট ৮৮.০৬।

সাতে ব্যাট করতেন শুক্কুর। অনেক বিপর্যয় তিনি রোধ করেছেন। দলকে বারবার টেনে তুলেছেন খাদ থেকে। ফাইনালের মতো মঞ্চেও তিনি করেছেন ৭৫ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। ফাইনালে তার দল হারলেও ফাইনালের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কারের সঙ্গে তার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে আরও ২৫ হাজার টাকা।
সেরা বোলার রুবেল। উইকেট নিয়েছেন ১২টি। তার সমান উইকেট তাসকিনেরও। কিন্তু রুবেল এগিয়ে গেছেন দলের ফাইনালে ওঠা ও শিরোপা জয়ে সার্বিক প্রভাব রেখে। টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জিতেছেন নুরুল হাসান সোহান। প্রাপ্তি ১ লাখ টাকা। কিপিং দিয়ে ফাইনাল ম্যাচের সেরা ফিল্ডারও তিনি।
দলে যার জায়গাই হয় না, সেই সুমন খান ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তরুণ পেসার পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। পাশাপাশি ফাইনালের সেরা বোলার হিসেবে পেয়েছেন আরও ২৫ হাজার টাকা।

টুর্নামেন্টেই আগেই ঘোষিত এসব স্বীকৃতির সঙ্গে ফাইনালের পরে যোগ হয়েছে আরও কিছু পুরস্কার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের উদ্যোগে ‘কামব্যাক প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। পাশাপাশি ‘প্রমিজিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’দেওয়া হয়েছে রিশাদ হোসেনকে।
এছাড়াও বিসিবি সভাপতির বিশেষ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে পেসার সাইফ উদ্দিন, অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান ও আফিফ হোসেন, পেসার সুমন খান ও ব্যাটসমান তৌহিদ হৃদয়কে। তাসকিন-রিশাদ ও এই ৫ জন পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা করে।

টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল মাহমুদউল্লাহ একাদশ পেয়েছে ১৫ লাখ টাকা। রানার্স আপ শান্ত একাদশের প্রাইজানি সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এছাড়াও প্রতি দলের সব ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের আলাদা করে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি।

ব্যক্তিগত পুরস্কার
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট : মুশফিকুর রহিম
ব্যাটসম্যান অব দা টুর্নামেন্ট : ইরফান শুক্কুর
বোলার অব দা টুর্নামেন্ট : রুবেল হোসেন
ফিল্ডার অব দা টুর্নামেন্ট : নুরুল হাসান সোহান
কামব্যাক প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট : তাসকিন আহমেদ
প্রমিজিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট : রিশাদ হোসেন
বিসিবি প্রেসিডেন্টের বিশেষ পুরস্কার : মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদি হাসান, সুমন খান, আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়
ম্যান অব দা ফাইনাল : সুমন খান
ব্যাটসম্যান অব দা ফাইনাল : ইরফান শুক্কুর
বোলার অব দা ফাইনাল : সুমন খান
ফিল্ডার অব দা ফাইনাল : নুরুল হাসান।


আরো সংবাদ



premium cement