২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নাজমুলদের উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ফাইনালে আসতে পারবে কিনা, এটা নিয়েই ছিল সংশয়। রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে তামিমরা জিতলেই দর্শক হয়ে যেত মাহমুদউল্লাহ শিবির। কিন্তু তামিমরা হেরে যাওয়ায় ভাগ্য পরশে ফাইনালের টিকিট মেলে তাদের। সেই সুযোগটা ভালোমতোই কাজে লাগালো রুবেল-সুমনরা।

প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে রোববার নাজমুল একাদশকে কোন পাত্তা না দিয়েই জিতল মাহমুদউল্লাহ শিবির। হেসে খেলে জয় এলো সাত উইকেটে। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতল মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে অল আউট নাজমুল একাদশ। জবাবে দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ২৯.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় মাহমুদউল্লাহরা, ১৭৭/৩। রাউন্ড রবিন লিগে দুটি ম্যাচেই নাজমুল একাদশের সঙ্গে হেরেছিল মাহমুদউল্লাহরা। ফাইনালে দারুণ শোধটাই নিল তারা।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে মুমিনুলের (৪) উইকেট হারালেও বাকি সময় খুব বেশি টেনশনে ছিল না মাহমুদউল্লাহরা। ওপেনিংয়ের জয়ের ভিত গড়ে দেন লিটন কুমার দাস। ৬৯ বলে তিনি করেন ৬৮ রান। দলীয় ৬৬ রানে মাহমুদুল হাসান জয় (১৮) আউট হলেও ইমরুল কায়েসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন লিটন। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১২৯ রানে। নাসুমের বলে আউট হন লিটন। ৬৮ রানের ইনিংসে লিটন হাঁকান ১০টি চার, নেই কোন ছক্কা।

তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সারেন ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দিকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ইমরুল। ৫৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। ১১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

নাজমুল একাদশের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আল আমিন নেন বাকি এক উইকেট। পুরো টুর্নামেন্টে আলো ছড়ানো তাসকিন আহমেদ ফাইনালে নিষ্প্রভ। সাত ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিনি থেকেছেন উইকেটশূন্য।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নাজমুল একাদশের শুরুটা ছিল বাজেই। দুই ওপেনার ফেরেন দ্রুতই। প্রথম ওভারেই সাইফ হাসানকে (৪) বোল্ড করেন পেসার রুবেল হোসেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকে (৫) উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসে বন্দী করেন সুমন খান।

দারুণ ফর্মে থাকা মুশফিক ফাইনালে ব্যর্থ। ৩৭ বলে ১২ রানে তিনিও সুমনের শিকার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত লড়াই করলেও তিনি থামেন ব্যক্তিগত ৩২ রানে। তার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিডল অর্ডারে ভরসা ছিল আফিফের উপর। কিন্তু তিনি ডাক মারেন, সুমনের বলেই।

নাজমুল একাদশের হয়ে মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সহায়তা করেন তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। এই জুটি না দাঁড়ালে আরও অল্প রানে গুটিয়ে যেত নাজমুল বাহিনী। ৭৭ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন শুক্কুর। তিনি হাঁকান ৮টি চার ও দুটি ছক্কা। ৫৩ বলে ২৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন তৌহিদ হৃদয়। শেষের চার ব্যাটসম্যান সুমন ও রুবেলের তোপে ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। ১০ ওভারে ৩৮ রানে ৫ উইকেট নেন সুমন খান। রুবেল হোসেন ৮ ওভারে দুই মেডেনসহ ২৭ রানে নেন দুটি উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement