১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধাওয়ানের অনন্য কীর্তি ছাপিয়ে দুরন্ত পাঞ্জাব

ধাওয়ানের অনন্য কীর্তি ছাপিয়ে দুরন্ত পাঞ্জাব - ছবি : সংগৃহীত

সত্যিই বিস্ময়কর। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২৬৭ ম্যাচে ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচেই শিখর ধাওয়ান যেন ভয়ঙ্কর। করলেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আইপিএলে নতুন কীর্তি গড়লেন দিল্লির মারকুটে ওপেনার। কিন্তু ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোর দিনে তিনি জেতাতে পারলেন না নিজ দল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। মঙ্গলবার রাতে দুরন্ত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে দিল্লি হারল ৫ উইকেটে।

আইপিএলে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির নজির ছিল না এত দিন। প্রথম করে দেখালেন দিল্লির শিখর ধাওয়ান। গড়লেন আরো একটি রেকর্ড। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসাবে ঢুকে পড়লেন আইপিএলে পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে। আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের সঙ্গে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন ধাওয়ান। এবার পাঞ্জাবের সাথে করলেন ৬১ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস।

আগে ব্যাট করতে নেমে ধাওয়ানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান করে দিল্লি। মজার ব্যাপার হলো, দিল্লির বাকি ব্যাটসম্যানরা মিলে করেছেন মোটে ৫৮। জবাবে এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে পাঞ্জাব।

দিল্লির হয়ে লড়ছেন শুধু ধাওয়ানই। অপর প্রান্তে যখন সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল, তখন আরেক প্রান্তে অপ্রতিরোধ্য ধাওয়ান। ৬১ বলে ১০৬ রানের সাইক্লোন ইনিংসে ধাওয়ান হাঁকিয়েছেন ১২টি চার ও তিন ছক্কা। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ রান দুজনের আয়ার ও পন্থের।

১৬৫ রানের লক্ষ্য কখনোই খুব বড় মনে হয়নি পাঞ্জাবের কাছে। ৫৬ রানের মধ্যে রাহুল (১৫), মায়াঙ্ক (৫), গেইলদের (২৯) হারিয়েও তাই ম্যাচ থেকে কখনোই হারিয়ে যাননি তারা। নিকোলাস পুরান (৫৩) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৩২) দাপট মাঝের ওভারে আরও সহজ করে দেয় পাঞ্জাবের কাজটা। দুটি ছোট্ট ঝড় ওঠে গেইল ও পুরানের ব্যাটে। ১৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৯ রান করেন গেইল। দেশ পান্ডের পঞ্চম ওভারেই গেইল তোলেন ২৫। ২৮ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৫৩ রান করেন নিকোলাস পুরান।

দল হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই জিতে নিয়েছেন ধাওয়ান। প্রতিক্রিয়ায় ধাওয়ান বলেন, ‘প্রতি ম্যাচেই দারুণ খেলছে বাকিরা। আজ আমাকে দায়িত্ব নিতেই হত। পর পর ম্যাচে রান পাওয়ায় ভাল লাগছে। নিজেদের বুঝতে হবে কোথায় ভুল হল যার জন্য হারতে হল। এই হার আমাদের দমিয়ে দিতে পারবে না।’অধিনায়ক আয়ারও পিঠ চাপড়ে দিলেন সতীর্থকে, ‘এই ম্যাচ থেকে আমাদের জন্য পজিটিভ ব্যাপার শিখরের দুরন্ত ফর্ম। পিচটাকে ঠিক মতো পড়তে পেরেছিলেন শিখর। সেই জন্যই এত ভালো খেলতে পারল।’

হারলেও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই আছে দিল্লি। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট দলটির। অন্যদিকে নয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে পাঞ্জাব। টানা তিন জয়ে প্লে অফের স্বপ্নটা উজ্জ্বল হচ্ছে বলিউড কুইন প্রীতি জিনতার দলটির।


আরো সংবাদ



premium cement