২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লকডাউনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুবিধা পাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ

- ছবি : সংগৃহীত

লকডাউনে ফিজিও ও ট্রেনারের দেয়া গাইডলাইনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করায় স্কিল ট্রেনিং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের স্কিল ট্রেনিং শেষে তিনি বলেন, ‘লকডাইনের সময় ভালো হয়েছে যে, আমি আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পেরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক ট্রেডমিল ব্যবহার করেছি। সেখানে ফিজিও ও ট্রেনারের নির্দেশিকা ছিলো। আমরা প্রতি তিন-চারদিন অন্তর যোগাযোগ করেছি। এতে ভালো ফলাফল পেয়েছি এবং এখন আমরা স্কিল নিয়ে কাজ করছি, দিন শেষে স্কিলই গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ডাক পাওয়া ২৭জন ক্রিকেটারের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ অন্যতম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজের দলে সুযোগ পাননি তিনি।

আবারো দলে সুযোগ পাওয়ায়, টেস্ট ক্যারিয়ারকে পুর্নজ্জীবিত করার সুযোগ পাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ। তবে সেটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ বলে মনে হয়েছিলো। বাদ পড়ার পেছনে তার ব্যাটিং পারফরমেন্স প্রধান কারন ছিলো এবং মাহমুদুল্লাহ এটি ভালো ভাবেই জানতেন।

তিনি জানান, ব্যক্তিগত অনুশীলনে ভিডিও চ্যাটিংএর মাধ্যমে ব্যাটিং কোচের সাথে নিয়মিত আলোচনা করেছেন।

মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চার বা পাঁচ সপ্তাহ আগ থেকে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছি, তাই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য প্রচুর সময় পেয়েছি। আমি ব্যাটিং কোচের সাথে কথা বলেছি এবং তার নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করেছি। এখন আমরা একটি দল হিসেবে কাজ করছি। দিন শেষে দল হিসেবে ফিরে আসতে পেরে সকলেই উচ্ছসিত এবং যখন আপনি আপনার সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে পারবেন, সেটিই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।’

স্কিলের উন্নতির জন্য গ্রুপ অনুশীলন সেশন অনেক বেশি উপকারী বলে মনে করেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা দল হিসেবে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছি। তাই ফিরে এসে ভালো লাগছে। লকডাউনের সময়টা কঠিন ছিলো, কারন আমরা দল ও মাঠ থেকে দূরে ছিলাম। আমরা জগিং ও জিম নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু স্কিল অনুশীলন নিয়ে নয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের ব্যক্তিগত অনুশীলন ছিলো এবং এখন আমরা গ্রুপে অনুশীলন শুরু করেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement