২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধোনির মাঠ থেকে অবসর নেয়া উচিত ছিলো : ইনজামাম

- সংগৃহীত

গেল শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষনা দেন ভারতের হয়ে দু’টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু এভাবে ধোনির অবসর নেয়াটা পছন্দ হয়নি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকের। তিনি বলেন, ‘বাসায় বসে এভাবে ধোনি অবসর নিতে পারে না। মাঠ থেকে ধোনির অবসর নেয়া উচিত ছিলো।’

২০১৪ সালে হঠাৎই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেন ধোনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে বক্সিং’ডে টেস্টের পরই বড় ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় দেন তিনি। আর সেটি বিশ্ব জানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতির মাধ্যমে।

২০১৭ সালে আবারো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগ মূর্হুতে জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি দেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। ফলে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ভারতের সাবেক অধিনায়ক হয়ে যান তিনি। তবে শুধুমাত্র ভারতের ব্যাটসম্যান-উইকেটরক্ষক হিসেবেই খেলছিলেন ধোনি।

কিন্তু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা-কল্পনার জাল ছড়ায়। গুঞ্জন উঠে বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিদায় দিবেন ধোনি। কিন্তু না। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বিশ্বকাপ শেষ হবার পরও ধোনির অবসরের ঘোষনা আসছিলো না। জাতীয় দল বা ঘরোয়া, কোন জায়গাতেই খেলছিলেন না তিনি। তাই জল্পনা-কল্পনার জাল আরও গাঢ় হচ্ছিলো।

অবশেষে বাসায় বসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষনা দেন ধোনি। কিন্তু বাসায় বসে কেন? এমন প্রশ্ন ইনজামামের। তার মতে, ধোনির মত খেলোয়াড় মাঠ থেকে অবসর নিবে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ধোনির কোটি-কোটি ভক্ত আছে। ধোনির ভক্তরা, তাকে আবারো মাঠে দেখতে মুখিয়ে ছিলো। কিন্তু সে অবসরের সিদ্বান্ত নিলো। সেটিও আবার ঘরে বসে। আমার মতে, এই মাপের একজন ক্রিকেটারের ঘরে বসে অবসর নেওয়া মানায় না। মাঠ থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল তার।’

২০১৩ সালে বিরাট আয়োজন করে মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় দিয়েছিলেন ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। তাই টেন্ডুলকারের মত করে ধোনির অবসর নেয়া উচিত ছিলো বলে জানান ইনজামাম, ‘আমি একবার টেন্ডুলকারকে বলেছিলাম, যে সকল খেলোয়াড়ের ভক্ত-প্রেমি রয়েছে তাদের মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়া উচিত। কারন এই মাঠ থেকেই তো এত সম্মান-তারকাখ্যাতি, এত ভালোবাসা পাওয়া গিয়েছে। টেন্ডুলকার ঠিক কাজটিই করেছেন। আমার মতে, ধোনিও এরকম করলে তার ভক্তরা অনেক খুশি হতো, আমিও খুশী হতাম। আমি ধোনিকে, ভারতের সেরা অধিনায়ক বলেই মনে করি।’

ধোনির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রশংসা করে ইনজামাম বলেন, ‘সে যে কোন ম্যাচের পরিস্থিতি সহজেই বুঝতে পারত এবং কিভাবে ম্যাচ শেষ করতে হয়, তাও জানতো। দলের জন্য অনেক বড়-বড় ইনিংস খেলেনি ধোনি, কিন্তু ভারতকে অনেক জয় এনে দিয়েছে । শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ জয়ই ছিলো, ধোনির প্রধান লক্ষ্য। একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা-সামর্থ্য ছিলো তার। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায়, নিজেকে উপরের দিকে এনে ভারতের শিরোপা নিশ্চিত করেছিলো ধোনি। ঐ ম্যাচের এমন সিদ্বান্তই বলে দেয়, কতটা আত্মবিশ্বাস ছিল ধোনির।’ বাসস


আরো সংবাদ



premium cement