আবাহনীকে হ্যাটট্রিক শিরোপা এনে দিতে চান মুশফিক
- ১৫ মার্চ ২০২০, ২১:২১
তিন বছর পর ঢাকা ক্রিকেট লিগে সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ফর্ম ধরে রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই আবাহনী লিমিটেডকে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল) হ্যাটট্রিক শিরোপা এনে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুমফিক ক্যারিয়ারে এই প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ আবাহনীর হয়ে খেলতে নেমেছেন। ক্লাবটির হয়ে অভিষেক ম্যাচেই পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১২৪ বলে ১২৭ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার ওই সেঞ্চুরিতে ৮১ রানের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী।
গত মৌসুমে ডিপিএলে অংশ নেননি মুশফিক। সর্বশেষ ২০১৭ সালে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন তিনি। আজ ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেন,‘গতবছর আমি এই লিগে খেলিনি। সুতরাং লিগে ফিরেই সেঞ্চুরি করার অনুভূতি খুবই ভালো। তিন বছর পর যে আমি সেঞ্চুরি করলাম সেটি আমার মাথায় ছিল না। এটি ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ এবং আমরা বেশ ভালো সূচনা করেছি। এটিই হচ্ছে বড় ব্যাপার।’
শিরোপা ধরে রাখতে পারলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করবে। মুশফিকও এ বিষয়ে আশাবাদী। যে দলটি পেয়েছেন সেটি দিয়ে শিরোপা অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলেন,‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে আবাহনী হচ্ছে দেশের শীর্ষ দল। আমরা এবারও সে রকম একটি দল পেয়েছি। আমি নিশ্চিত এই দল শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে পারবে।’
অবশ্য নিচের সারির দল পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর শুরুটা খুব একটা সুখকর ছিল না। ২১.৪ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। এতে আপসেট ঘটানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে দৃশ্যপট পাল্টে দেন মুশফিক। এটি ছিল প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে তার ১২তম সেঞ্চুরি।
মুশফিক যখন মাঠে নামেন তখন বেশ কঠিন পরিস্থিরি মুখোমুখি ছিল আবাহনী। ৬ রানেই হারিয়ে বসে দুটি উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন দারুণ ফর্মে থাকা দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ।
শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মোসাদ্দেকের ১৬০ রানের পার্টনারশীপে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ধানমণ্ডীর ক্লাবটি। এতেই পিছিয়ে পড়ে পার্টেক্স।
চাপের মধ্যে খেলা উপভোগ করেন জানিয়ে মুশফিক বলেন,‘এটি ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ। যে কারণে ছেলেরা কিছুটা স্নায়ুচাপে ছিল। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাপকে উপভোগ করি। সব সময় চেষ্টা করি দলের জন্য কিছু করার। সেটি জাতীয় দলের হোক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট। সত্যি কথা বলতে শুরুতে আমিও কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এ কারণে রানের খাতা খোলার আগে আমি বেশ কিছু বল নষ্ট করেছি। ’
মুশফিক বলেন,‘আমি আগেও বলেছি চ্যাম্পিয়ন হবার লক্ষ্যেই সব সময় দল গঠন করে আবাহনী। এই দলটিকে সামনে থেকেই আমি নেতৃত্ব দিতে চাই।’
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা