২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পিছিয়ে যাচ্ছে বিপিএল

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছিল ৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএল। কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল জানালেন, এক সপ্তাহ পিছিয়ে শুরু হতে পারে আগামী আসর।

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে হতে যাওয়া বিপিএল এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পিছিয়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের মুখপাত্র মাহবুব আনাম। বৃহস্পতিবার আগ্রহী স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে সভা শেষে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বিপিএল শুরুর কথা জানিয়েছেন তিনি।

বিপিএল পিছিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছেন মাহবুব এই বলে, ‘আগের সূচি অনুযায়ী বিপিএল ৬ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। যদিও কোনও ক্রাইসিস পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা যে কোনও কিছুই পিছিয়ে দেই। আশা করি, ৭ থেকে ১০ দিন পিছিয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিপিএল শুরু করা সম্ভব হবে।’ কিন্তু ‘ক্রাইসিস পরিস্থিতি’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা স্পষ্ট করেননি অভিজ্ঞ এই সংগঠক।

বৃহস্পতিবার স্পন্সর হতে আগ্রহী চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিসিবি। বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহবুব। তার দাবি, ‘আজ চারটি স্পন্সর পার্টনারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাদের কী দায়িত্ব থাকবে, তাদের পরিধি কতটা থাকবে- সেগুলো আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। তাদের পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্পন্সররা দলের মালিক হবে না। স্পন্সরশিপ রাইটের সঙ্গে তারা কী সুবিধা পাবে, সেগুলো আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি।’

যদিও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর বক্তব্য ভিন্ন। বিপিএলে তাদের দায়িত্ব কী হবে, সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার নয় তারা। আগ্রহী আখতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান যেমন বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি, বিসিবিই আমাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করবে। তারাই পুরো পরিকল্পনা করে দিচ্ছে। কিছু পরিকল্পনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছে। আমরা শুধু সেটার (পরিকল্পনা) সঙ্গে থাকব। তবে এখনও পুরো পরিকল্পনা আমাদের দেয়নি।’

তাহলে কী ভূমিকায় থাকবে স্পন্সররা? মাহবুব অবশ্য কিছুটা খোলাসা করেছেন আগ্রহীদের ভূমিকার বিষয়টি। আগ্রহী স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কী ধরনের সুবিধা পাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মুখপাত্রের জবাব, ‘আমাদের জাতীয় দলে যে রকম টিম স্পন্সরশিপ আছে তেমন। তারা যে স্পন্সরশিপ বেনিফিটগুলো পায়, একই বেনিফিট তারাও (বিপিএল স্পন্সর) পাবে। দল গঠনে তাদের সরাসরি কোনও ভূমিকা থাকবে না, পরোক্ষভাবে তারা হয়তো পরামর্শ দিতে পারবে।’

স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের দল গঠনের ভূমিকা না থাকলেও ভালো মানের বিদেশি আনতে গেলে তাদের গাঁটের পয়সাই খরচ করতে হবে। বিসিবির এই পরিচালক জানিয়ে রাখলেন, “বিপিএলের ড্রাফটে আমরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্লেয়ারদের অন্তর্ভুক্ত করছি, চারশ’র কাছাকাছি খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছে। তবে কোনও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ড্রাফটের বাইরে থেকে খেলোয়াড় আনতে চাইলে স্পন্সরদেরই খরচ দিয়ে আনতে হবে।” অথচ বিপিএলের নতুন পদ্ধতিতে যে দায়িত্বটা বর্তায় বিসিবির ওপরই!

দীর্ঘ বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার হয়েছে বিপিএলের সভা। এই সভাতেও সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। তাই বিপিএলের ড্রাফট কবে, সেটা জানতে আরও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। পরের সভায় চোখ রাখছেন মাহবুব, ‘আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে। ওই সিরিজটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বিপিএল খেলব। আরও দুটো স্পন্সরশিপ যারা চেয়েছেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করার পরই গভর্নিং কাউন্সিল খুব দ্রুত মিটিংটা করবে।’


আরো সংবাদ



premium cement