২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইনজুরির ভাষা যাই হোক, রশিদের মনের ভাষা ফাইনালে খেলছে

- ছবি : সংগৃহিত

ইনজুরি বলছে এক রকম কথা আর রশিদের মুখে বলছে আরেক কথা। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটাক্রান্ত আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে রশিদ খানের মতো তারকা ক্রিকেটারের ইনজুরিতে দুশ্চিন্তায় আফগান ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফাইনালে রশিদ খানের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ফাইনাল ম্যাচের আগে সোমবার মিরপুরে সাংবাদিকদের রশিদ খান জানিয়েছেন, ১০ ভাগ ফিট থাকলেও একজন খেলোয়াড় দেশের জন্য খেলতে চায়। এর দ্বারা অনুমেয় করা যায় রশিদ খানের মনোবল ফাইনালে খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভালোই প্রস্তুত রয়েছে। যদিও রশিদের যে ধরনের ইনজুরি তা এত দ্রুত সেরে উঠার সম্ভাবনা ছিল না। ৫-৬ দিন (সপ্তাহ খানেক) প্রয়োজন পড়ে।

শনিবারের ম্যাচে তার হ্যামস্ট্রিংয়ের যে পরিস্থিতি ছিল তাতে কোচ-ফিজির সায় ছিল না ফের মাঠে নামার। নিজের মনোবলে জোর করে নেমেই আউট করেন মাহমুদুল্লাহকে, দ্বিতীয় ওভারে ফেরান আফিফ হোসেনকে। কিন্তু চোট ভুগাতে থাকায় তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের হাতে মার খেয়ে দেন ১৮ রান, ‘কোচ ও ফিজিও চায়নি আমি বল করতে আসি। প্রথম দুই ওভারে আমি ঠিকঠাক ছিলাম। কিন্তু যখন দৌড়লাম তখনই বাজে হতে লাগল ব্যাপারটা। আশা করি কাল ঠিক থাকবে। ফিজিও অনেক কাজ করছে।’

শরীরে ধকল নিয়েও বিরূপ পরিস্থিতিতে রশিদের নামার কারণ দেশের প্রয়োজন। আফগানিস্তান অধিনায়ক উদাহরণ দিয়ে জানালেন, দেশের প্রয়োজনে নিজেদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতিকে কতটা তুচ্ছ করেন তারা, ‘আমার মনে হয় আমার বল করতে আসা উচিত হয়নি। কিন্তু দলের প্রয়োজন যখন তখন আপনাকে আসতে হবে (সামনে)। বিশেষ করে যে দেশের হয়ে আমরা খেলি। আমরা নিজেদের ফোকাস করার চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দেই। এমনকি যদি এক হাত নাও থাকে তবু এগিয়ে যেতে হবে।’

‘আসগর আফগান অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের চারদিন পর জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে নেমেছিল। যদি আমাদের ১০ ভাগও সম্ভাবনা থাকে আমরা সেটা নিয়ে থাকি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। নিজের চেয়ে দেশকে জিততে দেখতে চাই।’


আরো সংবাদ



premium cement