২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের দেয়া বড় ১৭৬ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধস নেমেছে সফকারীদের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নেমেছে তাদের।

প্রথম ওভারে জিম্বাবুয়ের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শূণ্য রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে ফিরে যান রেগিস চাকাবা। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে মাসাকাজা বাহিনী। পরপর দুই ব্যাটসম্যান শুরুতে ফিরে যাওয়ার চাপ সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন দলপতি হ্যামিলটন মাসাকাজা ও শন উইলিয়ামশন। এরমধ্যে দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ উইলিয়ামসন। অভিজ্ঞ বোলার শফিউলে বলে ফিরের তিনিও। তার ব্যাট থেকে আসে ২। মুতম্বদজিকে ১১ রানে ফিরিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে দ্বিতীয় বলে উইকেট তুলে নেন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম। এরপর বিপজ্জনক রায়ান বুর্লকে ১ রানে ফিরিয়ে শফিউল তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় শিকার। ২৫ রানের মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে আমিনুল তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান।

এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে মাহমুদুল্লাহর ৪১ বলে ৬২ ও লিটন দাসের ২২ বলে ৩৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।

বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দুদলের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় সফরকারী দলের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। জুটিতে ৪৯ রান করলে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শান্তর। ৯ বলে ১১ রান করে কাইলি জার্ভিসের বলে তার হাতেই তালুবন্দী হয়ে সাহঘরে ফেরেন।

৫৫ রানের মাথায় লিটনও এমপুফুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাদজিভার হাতের খাচায় বন্দি হন। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে দু্ই ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করেন তিনি।

৬৫ রানের মাথায় ১০ রান করে সাকিব ফিরে যান রায়ান বুর্লের শিকার হয়ে। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগার দল।

সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক জুটি সেই চাপ সামলিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে ২৬ বলে এক ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে মুতম্বদজির বলে উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলরের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যাট করতে নেমে ৮ বলে ৭ রান করেন এমপুফুর দ্বিতীয় শিকার হন আফিফ হোসেন। মোসাদ্দেক ২ এবং ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন।

মাহমুদুল্লাহ ৪১ বল মোকাবেলা ১ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৬২ রানের ইনিংস । 

জিম্বাবুয়ের কাইল জার্ভিস ৩২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement