২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আফগানিস্তান অবশ্যই আমাদের চেয়ে বড় দল’

- ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। টাইগার দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতে বিশ্বকাপে ব্যর্থ হবার পর খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও দুর্বল মানসিকতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরবর্তীতে পথ হারিয়ে ফেলে তারা। ধারাবাহিক পরাজয়ের বৃত্তে আবর্তিত হয়ে অষ্টম স্থানে থেকে টুর্নামেন্টটি শেষ করেছিল টাইগাররা। এরপর অনুষ্ঠিত সিরিজে শ্রীলংকার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হবার পর সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ।

সব ফর্মেটের ক্রিকেটে টানা হারের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরলেও যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। তবে জয়ের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি সাকিব বাহিনী। পরের ম্যাচেই ২৫ রানে হেরে গেছে আফগানিস্তানের কাছে।

আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারের পর সাকিব বলেন, ত্রিদেশীয় এই সিরিজ জয়ই বাংলাদেশকে হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারে। তবে সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে, তাতে এখন সেই স্বপ্নও ভাঙ্গতে শুরু করেছে।

আফগানিস্তানের কাছে টি-২০ ম্যাচে হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও দুর্বল মানসিকতাই আমাদের ভোগাচ্ছে।’

সাকিবের মতে পাওয়া অনুপ্রেরণা ধরে রেখে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলতে না পেরে মূলত জয়টি তাদের উপহারই দেয়া হয়েছে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ভালই বোলিং করেছিল। তবে ফিল্ডিংয়ে কোন ধার ছিল না। যার সুবাদে আফগানদের কোন রকম বেগ পেতে হয়নি। মাত্র ৪০ রানে ৪ উইকেট দখলের পরও মোহাম্মদ নবীর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ৮৪ রান সংগ্রহ করেন নবী।

জবাবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাধ্যমে নবীর এনে দেয়া সুবিধাকে কাজে লাগায় আফগানি বোলাররা। সেই সঙ্গে ছিল তাদের অসাধারণ ফিল্ডিং। ফলে ১৯.৫ ওভারে ১৩৯ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ওই ম্যাচের পর সাকিবের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়েও বড় দল।

বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার বলেন,‘ তারা অবশ্যই আমাদের চেয়ে বড় দল। র‌্যাংকিংয়ে তারা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে, আর আমাদের অবস্থান দশম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকাও আমাদের উপরে রয়েছে। অথচ তাদের বিপক্ষে আমরা কখনো হেরেছি আবার কখনো জিতেছি।

আফগানিস্তান যেহেতু র‌্যাংকিংয়ের সপ্তম অবস্থানে রয়েছে, সেহেতু তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা কঠিন। গত বছর দেরদুনে যেমন ঘটেছিল, সেটির প্রমাণ এখানে পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে মানসিক হিনমন্যতাও তাদেরকে আমাদের বিপক্ষে জয়ী করে তুলছে। আমার মতে আমরা যে অবস্থানে ছিলাম সেখান থেকে দুই দলেরই সমান সুযোগ ছিল।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাড়তি অতিরিক্ত রান প্রদানের ঘটনাটিকেও সামনে তুলে এনেছেন টাইগার অধিনায়ক। নিজেদের ইনিংসে ১৮টি অতিরিক্ত রান পেয়েছিল সফরকারীরা। এটিও ওই ম্যাচে হারের কারণগুলোর একটি বলে মনে করেন সাকিব। তার মতে প্রতিপক্ষ দলকে শাসন করার সুযোগ করে দিয়ে ম্যাচটি উপহার দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম আমাদের সামর্থ্য দিয়ে তাদের আউট করতে পারতাম। কিন্তু হতাশার বিষয় হচ্ছে আমরা তাদের উইকেটগুলো শিকার করতে পারিনি। শেষ ১০ ওভারে তারা ১০৬ রান যোগ করেছে। যেভাবে তারা চাপ সামাল দিয়েছে তাতে সাদুবাদ পাবার যোগ্য। অপরদিকে ম্যাচটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পর একের পর এক ভুল করে গেছি আমরা।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement