২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটি জয় পেলেই পাল্টে যাবে সব

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশে ক্রিকেটে খরা শুরু হয়েছে। এখনো কাটেনি সেই খরা। একটি জয়ই পারে বর্তমানের বাজে সময় থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ছন্দে ফেরাতে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে, এজন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা করার বিকল্প নেই বলেও, জানান তিনি। দলের এতো ভরাডুবির পরেও, ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকেই ফেভারিট বলছেন ময়মনসিংহের এই ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন স্পিনার রশিদ খান খেলেছেন ৮টি ম্যাচ। উইকেট শিকার মোটে ৬টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬ অপরে। রশিদ খান নামের স্পিন বিস্ময়ের সাথে বিশ্ব মঞ্চে কোন মিল পাওয়া যায়নি তার বোলিং পারফরম্যন্সে। বিশ্বকাপের পরপরই আফগান স্পিনার কাউন্টি ক্রিকেট সাসেক্সের হয়ে ৮টি টি-২০ খেলে পান মাত্র ৬ উইকেট।

অথচ সেই রশিদ খান বাংলাদেশে এসেই হয়ে উঠেন মূর্তিমান আতঙ্ক। সাগরিকায় রশিদের স্পিনে ধুলিৎসাত হয়েছে সব। অফ ফর্মে থাকা রশিদ খান একাই ১১ উইকেট শিকার করে চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য লিখে ফেলেন। বিশ্বকাপে কিংবা কাউন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যসব ব্যাটসম্যানদের কাছে যখন অসহায় রশিদ খান। তখন কি হয়েছিলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে?

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, বর্তমান সময়ে সেরা স্পিনার অ্যাটাক রয়েছে আফগানিস্তানের। আমরা তাদের ভ্যারিয়েশন নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু আমরা তা ঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারছি না। এক্সিবিশন ঠিকভাবে করতে পারলে; সব ঠিক হয়ে যাবে।

বিশ্বকাপে স্বপ্নের ভরাডুবির পর শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যর্থতার ষোলকলা। সর্বশেষ আফগানদের কাছে টেস্টে হার যেন সমর্থকদের কাছে সাত আসমান থেকে ধপাস করে মাটিতে পড়ার মতোই। এমন অবস্থায় একটা জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তীর্থের কাকের মতোই চেয়ে আছে।

মোসাদ্দেক আরো বলেন, হার যেমন দর্শক, মিডিয়া কাছে কষ্টের। এর চেয়ে বেশি কষ্ট আমাদের কাছে। যদি আমরা প্রথম ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে ম্যাচের মোমেনন্টামটা পাওয়া যাবে। তবে, সিরিজের আমরা ফেভারিট হিসেবে খেলবো।

আফগানদের কাছে টেস্টের হারের পর বাস্তবিক অর্থে লজ্জা কিংবা কষ্ট সবই সইতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। কিন্তু, তাই বলে লইড়ায়ের আগে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়তে চায় বাংলাদেশ দল।


আরো সংবাদ



premium cement