২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অজিদের দুর্দান্ত জয়ে সেমির পথে টিকে থাকলো বাংলাদেশ

- ছবি : সংগৃহীত

ইংলিশদের ৬৪ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে ষষ্ঠ জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। আর এই হারে সেমিফা্ইনালের পথ অনেকটা কঠিন হয়ে গেলো ইংল্যান্ডের জন্য। সেমিতে পা রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি জেতা অনেক বেশি প্রয়োজন ছিলো তাদের। কিন্তু তা সম্ভব করতে পারেনি ইয়ান মরগানের দল। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সগ্রহ করে ইংলিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৮৯) রান করেন বেন স্টোকস।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে অজি ব্যাটসম্যানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (১০০) রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে (৫৩) রান।

মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচটি লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়ান মরগান অজিদের আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।

ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেট অক্ষুন্ন রেখে দেখে-শুনে খেলে ১৯ ওভারে এক শ’ রান তোলে অজিরা। ওয়ার্নার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতক। ফিফটি হাঁকানোর পর বেশিক্ষণ আর মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ২৩তম ওভার করতে আসা অপ স্পিনার মইন আলির বলে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে ৫৩ রানে ফেরেন ওয়ার্নার। দুজনের জুটি থেকে আসে ১২৩ রান। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা ওসমান খাজাও নিজেকে বেশ মেলে ধরতে পারেননি। দলের ১৭৩ রানের মাথায় ২৩ রান করে ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বেন স্টোকসের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। খাজার পর ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি করে ফিরে যান অ্যারন ফিঞ্চও। ১১৬ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় ১০০ রান করে জোফরা আর্চারের শিকার হন তিনি। প্রথম দিকে ওপেনারদের দৃঢ়তায় সাড়ে তিন শ’ রানের আভাস দিলেও শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ফিঞ্চ-ওয়ার্নার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রান এবং ঝড় তুলতে পারেনি। তাই বড় স্কোরও গড়া সম্ভব হয়নি। দলের রান যারা মাঝপথে দ্রত তোলার কাজ তাদের স্টিভেন স্মিথ ৩৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১২, মার্কোস স্টয়নিস ৮ ও পেট কামিন্স করেন ১ রান করে ফিরে যান! তখন শেষ পর্যন্ত অ্যালেক্স কেরির অপরাজিত ২৭ বলে ৩৮ ও মিচেল স্টার্কের অপরাজিত ৪ রানের সুবাধে ৫০ ওভারে ৭ ্উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। আর তাতে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়ায় ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস ওয়াকস ২টি, জোফরা আর্চার, মইন আলি, বেন স্টোকস ও মার্ক উড একটি করে উইকেট শিকার করেন।

অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ৫৩ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে  হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। মিচেল স্টার্ক ও জেসন বিহানড্রপের বোলিং তোপে পড়ে দাঁড়াতেই পারেননি জেমস ভিন্স, জো রুট, ইয়ন মরগান ও জনি বায়েস্ট্রোরা। ইনিংসে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে বেহান্ড্রফের বলেঅ বোল্ড হয়ে দলের রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার জেমস ভিন্স। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে মিচেল স্টার্কের দারুণ এক ডেলিভারিতে ৮ রান করে ফিরে যান ওয়ানডাউনে নামা বিপজ্জনক জো রুট। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্ম বলে বিগ শর্ট খেলতে গিয়ে মিচেল স্টার্কের ্দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৪ রান করে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ান মরগান। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ড দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার জনি বায়েস্ট্রো ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা বেন স্টোকস। কিন্তু দলীয় ৫৩ রানের মাথায় দলের বিপদের মুহূর্তে অযাচিত বড় শর্ট খেলতে গিয়ে বেহানড্রফের বলে পেট কামিন্সের তালুবন্দী হয়ে ২৭ রান করে ফেরেন বায়েস্ট্রো। ১৩.৫ ওভারে ৫৩ রানে চার ব্যাটসম্যান হারিয়ে অনেকটাই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংলিশরা। পঞ্ম উইকেট জুটিতে জস বাটলার ও স্টোকস বিপদ কাটানোর প্রচেষ্টা করেন। ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ ৭১ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ১২৪ রানের মাথায় বাটলারকে২৫ রানে ওসমান খাজার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান স্টয়নিস। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ক্রিস ওয়াকসকে নিয়ে ফের জুটি গড়ার চেষ্টা করেন স্টোকস। ৫৩ রানের একটি সময় উপযোগী জুটিও গড়েন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ম্যাচের গুরুত্পূর্ণ উইকেট বেন স্টোকসকে দুর্দান্ত এক ইয়ার্কারে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন, আর নিজের দলকে ম্যাচে ফেরান স্টার্ক। ১৭৭ রানের মাথায় স্টোকস আউট হলে পরের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও দ্রুত ফিরে যান। শেষ দিকে ক্রিস ওয়াকসের ২৬ ও আদিল রশিদের ২৫ রানের সুবাধে ৪৪ দশকিম ৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। আর তাতে অজিরা পায় ৬৪ রানের দারুণ এক জয়। এই হারে ইংল্যান্ডের জন্য সেমিফাইনালে ওঠার পথ হয়ে গেলো অনেক কঠিন।

অস্ট্রেলিয় বোলারদের মধ্যে জেসন বেহান্ড্রফ ৫টি, মিচেল স্টার্ক ৪টি ও মার্কোস স্টয়নিস একটি উইকেট শিকার করেন।

ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি (১০০) রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন অ্যারন ফিঞ্চ।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল