২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলীতে স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে স্বামী হাসপাতালে

আমতলীতে স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে স্বামী হাসপাতালে - ফাইল ছবি

স্বামী আবু জাফর মোল্লাকে স্ত্রী সকিনা আক্তার সেলিনা মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য সকিনার সাথে তার ভাই জাফর খাঁনও ছিলেন। শুক্রবার সকালের এ ঘটনাটি বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের।

জানা গেছে, আহত আবু জাফরকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের রাজ্জাক খানের মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী সকিনা আক্তার সেলিনাকে একই উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামের তাজেম আলী মোল্লার ছেলে আবু জাফর মোল্লা ২০১৫ সালে ঢাকায় বসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সকিনা বেগম স্বামীর সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন বলে অভিযোগ স্বামী আবু জাফর মোল্লার।

তার দাবি, গত শনিবার স্ত্রী সকিনা ঢাকার বাসা থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে গ্রামে বাবার বাড়িতে পালিয়ে যান। স্ত্রীর খোঁজে স্বামী আবু জাফর মঙ্গলবার তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। কিন্তু স্বামী আসার খবর পেয়ে স্ত্রী সকিনা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে চাওড়া ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শুক্রবার সকালে ওই বাঁশতলা গ্রামে স্ত্রীকে খুঁজতে যান স্বামী জাফর মোল্লা। ওই গ্রামে স্ত্রীকে খুঁজে পান স্বামী। এ সময় ঢাকা থেকে পালিয়ে আসার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় স্ত্রী সকিনা আক্তার, ভাই জাফর খাঁন ও তার জামাতা সুমন তাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন থেতলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

আহত স্বামী আবু জাফর মোল্লা বলেন, আমার স্ত্রীর খোঁজে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে স্ত্রী সকিনা, তার ভাই জাফর খান ও আগের ঘরের মেয়ের জামাতা সুমন ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

তবে সকিনা আক্তার সেলিনা মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বাসা থেকে কিছুই চুরি করে নিয়ে আসিনি। শুধু শুধু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত আবু জাফর মোল্লার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement