২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’: নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে, ভাঙছে বাঁধ

উপকূল এলাকায় জোয়ারের পানি বেড়েছে - ছবি নয়া দিগন্ত

শক্তি বাড়ার সাথে সাথে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূল এলাকায় জোয়ারের পানি বেড়েছে।

নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-

খুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি
শক্তি বাড়ার সাথে সাথে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনাঞ্চলের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাত থেকেই এখানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসও বইছে, এ কারণে উপকূলের উপজেলা কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এ ছাড়া বাতাসের সাথে সাথে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুন্দরবনের আশপাশের নদনদী সহ শিবসা, কপোতাক্ষ, রূপসা নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানির চাপে খুলনাসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো: আমিরুল আজাদ বলেন, বঙ্গেপসাগরে থাকা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় নদ-নদীর জোয়ারের পানি দুই থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে ।

তিনি বলেন, মোংলা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবা সকালে থেকে থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া বইছে।

বৈরী পরিবেশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতও ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশান।

দুপুরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া জোয়ারের পানি ঢুকে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও কক্সবাজার সদরের গোমাতলি, চৌফলন্দীসহ বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: আবদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কক্সবাজারকে দুই নম্বর সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আর সাগরের পানির উচ্চতা তিন থেকে চারফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

ভোলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত দুই হাজার মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারে ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলিন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চার থেকে পাঁচফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বলেশ্বরের বুকে জেগে ওঠা মাঝের চরের বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে গেছে। এতে চরের প্রায় আড়াই শ’ পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement