১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, গরম কাপড় কেনার ধুম

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, গরম কাপড় কেনার ধুম - নয়া দিগন্ত

পৌষের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাস। পশ্চিমাঞ্চলে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসায় কম্বলসহ গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে সর্বত্র। কয়েক দিন ধরেই হালকা শীত পড়ার পর গরম কাপড় কেনা-বেচা শুরু হয়।

তবে বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, কার্ডিগান, শাল, হাতমোজা ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। শীত থেকে বাঁচতে সবাই ছুটছেন গরম কাপড়ের দোকানে। বিত্তবানরা ছুটছেন শহরের বড় বিপণি-বিতানগুলোয়। আর নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানেগুলোতে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা বেশ খুশি।

চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেট, আব্দুল্লাহ সিটি, প্রিন্স প্লাজা, বড় বাজার পুরাতন গলিসহ বিভিন্ন বড় বড় মার্কেট ও শো-রুমগুলোতে যেমন ক্রেতাদের ভিড়, তেমনি কোর্ট মোড় নিক্সনপট্টি, বড় বাজার ফুটপাতের অস্থায়ী বসা গরম কাপড়ের দোকানগুলোয় রোববার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে হাত-পা মোজা, টুপি যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি জ্যাকেট, চাঁদর, সোয়েটারসহ শীতের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।

কোর্ট মোড় নিক্সনপট্টির ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে আসা নাসিম হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে চুয়াডাঙ্গায়। নিজের জন্য একটি হুডি কিনলাম। দোকানদার দাম চেয়েছিলেন ছয় শ’ টাকা। দামাদামি করে তিন শ’ টাকায় কিনেছি। একটা ভালো মাফলার খুঁজছি পেয়ে গেলে কিনে নিতে হবে, কিন্তু পছন্দ মতো পাচ্ছি না। হঠাৎ শীত একটু বেড়ে যাওয়ায় কাপড়ের দামও একটু বেড়ে গেছে।’

ভ্যানচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘গত পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে হাড় কাপানো শীত পড়ছে। আগে ভ্যান চালালে শীত বেশি লাগত না। এখন বাতাসটা খুব কনকনে, শীতে শরীর কাঁপতে থাকে। তাই একটা কম দামে জ্যাকেট কেনার জন্য এসেছি। তার ওপর শীতের জন্য লোকজন বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দিনের বেলায় কোনো মতে ভ্যান চালানো গেলেও সন্ধ্যা নেমে গেলে ঠাণ্ডা বাতাস অসহ্য হয়ে যায়। আমাদের তো আয় কম। ফলে ইচ্ছে থাকলেও ভালো কাপড় কেনার সামর্থ নেই। তাই ফুটপাতে কিনতে এসেছি। এখান থেকে দুই শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকায় একটা জ্যাকেট কিনতে এসেছি। এখনো পছন্দমতো পাইনি।’

ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা সিরাজ বলেন, ‘আমাদের দোকানের ক্রেতারা বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখে খানিকটা কম দামের পোশাক নিয়ে আসি এবং তা বিক্রি করি। গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র শীত ও কুয়াশা পড়ায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সবাই সাধ্যমতো পছন্দের জিনিস কিনছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement