২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পুঠিয়ায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় বাবা, নয়াদিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে পুলিশের

পুঠিয়ায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় বাবা - ছবি : নয়া দিগন্ত

‘পুঠিয়ায় মেয়ের ধর্ষণ ও আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় বাবা’ দৈনিক নয়াদিগন্তের অনলাইনে এই শিরোনামে সংবাদ ও বাবা একাই ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দাড়িয়ে থাকা ছবি প্রকাশের পর তা সারাদেশে ভাইরাল হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে টনক নড়ে পুলিশের। সংবাদ প্রকাশের আধা ঘন্টার মধ্যে ভূক্তভোগির বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে হাজির হন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। ঘটনার শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে দৈনিক নয়াদিগন্ত সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অসহায় পরিবারের পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ ওই এলাকার সাধারণ লোকজন।    

মেয়েটির বাবা সেলিম হোসেন বলেন, আমার মেয়েটি মারা যাওয়ার দু’মাস পেরিয়ে গেছে। তাকে হারিয়ে মনের মধ্যে কতটুকু কষ্ট নিয়ে দিন যাচ্ছে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। আমি ভ্যানচালক বলে থানার লোকজন এই মামলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যার কারণে নিজেই মেয়ের ওপর নির্যাতন ও তার আত্মহত্যার বিচারের দাবি নিয়ে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম।

সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আবুল কালাম সাহিদ বলেন, মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। তবে মূল আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। দেশে করোনার প্রভাবের কারণে তাকে আটক করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার গাফিলতি হচ্ছে না বলে তিনি জানান। 

উল্লেখ্য, এপ্রিলের শুরুতে ইভা খাতুন (১২) তার বড় বোন সদ্য বিবাহিতা উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও তার দুলাভাই এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে সুযোগে লম্পট দুলাভাই জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় তার বাবা সেলিম হোসেন বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাভাই, তার বাবা ও মাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


আরো সংবাদ



premium cement